শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৪০ সকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ৫টি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নতুন রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার করা তো দূরে থাক, উল্টো যে তিনটি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল সেগুলোও হাতছাড়া হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিপরীতে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনটিতেই উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি দুইটিতে স্থানীয় দলগুলো সর্বোচ্চ জনসমর্থন পেয়েছে। এ রাজ্যগুলোতে গত শুক্রবার পর্যন্ত দফায় দফায় ভোটগ্রহণের পর গতকাল মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু হয়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা না করা হলেও প্রাথমিক ফলে সবক’টি রাজ্যেই বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত করেছে। আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিধান সভার নির্বাচনকে দেখা হচ্ছিল ‘সেমিফাইনাল’ হিসেবে। আর তাতে পরিষ্কারভাবেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

এই সেমিফাইনালের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসসহ বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

বিধান সভার নির্বাচনে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামের মোট ৬৭৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। গতকাল ভোট গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারাতে চলেছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস পুরো উদ্যমে ফিরে আসছে। রাজস্থানে ২০০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১০০টি আসনে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭৪টি আসনে। ছত্তিশগড়ের ৯০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় কংগ্রেস ৬৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি মাত্র ১৬টি আসনে এগিয়ে থাকলেও তাদের রাজ্যক্ষমতা হারানো নিশ্চিত। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় কংগ্রেস ১১৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিপরীতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১০৪টি আসনে। ধারণা করা হচ্ছে, চূড়ান্তভাবে সেখানে কংগ্রেসের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। সর্বশেষ মেয়াদে মিজোরামে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেখানে দলটিকে পেছনে ফেলে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে স্থানীয় দলগুলোর জোট এমএনএফ। সেখানে ৪০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় এমএনএফ এগিয়ে রয়েছে ২৬টি আসনে। কংগ্রেস ৫টি ও বিজেপি মাত্র একটি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আর তেলেঙ্গানায় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)-এর চন্দ্রশেখর রাও দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসতে চলেছেন। ১১৯টি আসনের মধ্যে তিনি ৮৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস-টিডিপি জোট এগিয়ে আছে ২১টি আসনে।

ভোট গণনার এই প্রবণতা দেখে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর তিনটি টুইটে তিনি বলেছেন, মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এটা জনতার রায় এবং জনতার জয়। এই জয় গণতন্ত্রের জয়। তার ভাষায়- ‘সেমিফাইনালেই বোঝা গেল, কোন রাজ্যেই বিজেপি কোথাও নেই। এটা ২০১৯-এর ফাইনাল ম্যাচের বাস্তব গণতান্ত্রিক ইঙ্গিত। জয়ীদের শুভেচ্ছা জানাই।’

এদিকে, বিধানসভার নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপির সামনে লোকসভা ভোটে সংকটে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিলেও বিধানসভার নির্বাচনের ফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি মোদি।
সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়