আহমেদ জাফর: ২১টি অঙ্গীকারকে প্রাধান্য দিয়ে ইতোমধ্যে দলটির ইশতেহারের কাজ চূড়ান্ত করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছে ইশতেহার উপ-কমিটি। আগামী ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করবেন। মূল -স্লোগান ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’রেখে ভিন্ন ভিন্ন কাজের বিভাগ অনুযায়ী চমকপ্রদ উপ-স্লোগান যেমন “আমার গ্রাম-আমার শহর” তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, ঠিক রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের মিশনে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।
এবারের ইশতেহারে রয়েছে সাতটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে ইশতেহারের অঙ্গীকার, দ্বিতীয় অধ্যায়ে পটভ‚মি, তৃতীয় অধ্যায়ে গত দুইমেয়াদে সরকারের সাফল্য ও আগামী মেয়াদের জন্য পরিকল্পনা, চতুর্থ অধ্যায়ে দেশের অর্থনীতির চিত্র, পঞ্চম অধ্যায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, ষষ্ঠ অধ্যায়ে ভবিষ্যৎ দিকদর্শন, সপ্তম অধ্যায়ে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান। আবার উপ-অধ্যায়ে ভাগ করে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়। আগামী ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিতি থেকে ইশতেহার ঘোষণা করবেন।
ইশতেহারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার প‚র্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার প‚র্ণ হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকুরি না পায় বা কাজ না পায়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ইশতেহার কমিটির আহব্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পরে শেখ হাসিনা উপস্থিতি থেকে ইশতেহার ঘোষণা করবেন। হোটল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ইশতেহার কমিটির আহব্বায়ক এইচটি ইমাম সোমবার বলেছেন আগামী ১৮ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ইশতেহার কমিটির সদস্য বিল্পব বড়ুয়া বলেন, ইশতেহার কাজ শেষ হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করবেন।
তরুণ ও নারী ভোটারদের প্রাধান্য দিয়ে ২১ টি লক্ষ্য নিয়ে ইশতেহার তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। প্রায় ৬০ পৃষ্ঠার ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকার রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, কৃষি ও শিক্ষায় উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কর্মসংস্থান, একশটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, নারী উন্নয়ন ও নীতি বাস্তবায়ন, গত ১০ বছরে সরকার ও রাষ্ট্রের অর্জনগুলো তুলে ধরা, বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বাড়ানো, নিরাপত্তা ও পুষ্টিকর খাদ্য, শিল্প কারখানা নির্মাণ, বিনিয়োগ,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচনের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মাদ্রাসায় কর্মমুখী শিক্ষা, সমুদ্র অর্থনীতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিরশন, পদ্মা ও যমুনাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ, প্রবৃদ্ধি, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। ২০১৯ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা। এছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হয়নি, কারণ ব্যাখ্যা করা।
আপনার মতামত লিখুন :