তরিকুল ইসলাম সুমন: ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গা পুণরায় দখল রোধে নৌপথের দু’তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এসব নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৬টি স্কেভেটর ও ৬টি পন্টুন সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট প্রকল্প পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (অর্থ) মো. নূরুল আলম।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য ইতোমধ্যেই গাড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ এবং স্কেভেটর সংগ্রহের কার্যদেশ দেওয়া হবে।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) এবং প্রকল্পের উপপরিচালক এএসএম আশরাফুজ্জামান জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা), ১০৫ কিলোমিটার রেলিং নির্মাণ, ৪৫ কিলোটিমার তীর রক্ষা, ১০০ টি সিড়ি, ১৯ টি জেটি (১০ টি হেভি, ৯ টি হালকা), ৩৮ টি স্পাড, ১০ হাজার ৮২০ টি সীমানা পিলার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সাইনবোর্ড নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ২০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ৫২ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা নির্মাণ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কওে তীর রক্ষা করতে হবে। তীর রক্ষা (১১ কিলোমিটার জায়গা উচ্চুকরা, প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গা পাইলিং করে খাড়াভাবে), নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ৮২০টি টেকসই সীমানা পিলার নতুন করে স্থাপন করা হবে। এরমধ্যে আগের স্থাপনকৃত ৪৬১৭ টি রয়েছে। এগুলোর অবস্থা নাজুক যে কেউ ইচ্ছে করলেই এগুলো সরিয়ে ফেলাসহ ভেঙে ফেলতে পারে। এজন্য নতুন করে ৬০-৮০ ফিট গভীর পাইলিং করে সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও তীরভুমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ করে এই চার নদীর দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। পথচারীদের বসার জন্য বেঞ্চ, বিনোদন কেন্দ্র এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ চার নদীর তীরে সুবিধা জনক জায়গায় পণ্য পরিবহণের জন্য ১৯টি আরসিসি স্টেপসহ আরসিসি জেটি, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ করবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :