শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৩ সকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারের প্রধান কর্তব্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা

ফিরোজ আহমেদ : বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই অপরিচিত। তবে কয়েকটির লিঙ্ক প্রায়ই দেখেছি, যেমন প্রিয়.কম, শীর্ষনিউজ। এই দুটিতে বহু দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ দেখেছি, সেগুলো পরবর্তী সময়ে জাতীয় দৈনিকেও সমর্থিত হয়েছে।

সন্ত্রাসী কিংবা নিখাঁদ চরিত্রহননমূলক হলে যেকোনো গুজবের উৎস আইনি একটি প্রক্রিয়া মেনে বন্ধ করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনি একটি প্রক্রিয়া মানা। এমনকি সন্ত্রাসী বা জনস্বার্থ সম্পর্কিত হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেয়ার সীমিত অধিকার সরকারকে দেয়া যেতে পারে, এই শর্তে যে, ন্যূনতম একটি সময়ের মাঝে, ২৪ ঘণ্টার বেশি কিছুতেই না, তারা সেটিকে আইনি প্রক্রিয়াতেও নিয়ে আসবে এবং প্রতিটি ঘটনায় এই প্রক্রিয়াটি হয়রানিমূলক প্রমাণিত হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ স্বয়ং জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আসবে।

প্রিয়.কম যেমন, বহু বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে, বিনোদন জগৎ নিয়ে পাঠকের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার চেষ্টাÑ এই সব কারণে বেশ কিছু ভালো খবরের পরও কোনো ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে তা ব্যর্থ হয়েছিলো। সেটা একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি। কিন্তু এটা কোনো সংবাদের উৎস বন্ধ করার কিংবা সে বিষয়ে সম্মতি দেয়ার বৈধ কারণ হতে পারে না। বরং জোর দিয়ে বলতে চাই, সরকারের এই তৎপরতা অবৈধ এবং সংবিধানে প্রদত্ত স্বাধীনতার স্পষ্ট বরখেলাপ। অনেকগুলো গুজব ছড়ানো কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী সংবাদমাধ্যমের সাথে কয়েকটা বিশ্বাসযোগ্য উৎসও বন্ধ করে ক্ষমতাসীনেরা আসলে সংবাদের উৎসের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করতে চায়, সাথে চায় বাকিদেরও আতঙ্কগ্রস্ত করতে।

এমনকি অপরাধী কোনো একটি সাইট বন্ধ করার সময়েও প্রতিটা ওয়েবসাইট বন্ধের যথাযথ কারণ আলাদা আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করা, সেগুলোকে আইনি প্রক্রিয়ার মাঝে নিয়ে যাওয়া এবং তাৎক্ষণিক জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো সাইট বন্ধ করা যাবে না, এইটুকু ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চেতনার অভাব ক্ষমতাসীনদের মাঝে প্রকাশিত।

এই চেতনার অভাব যেমন একদিকে, আরেকদিকে দেখা যাচ্ছে আসাম কিংবা আসামের গুজব.কম সমতুল্য বাংলাদেশি নানান সাইট, সেগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশি টেলিভিশনগুলো পর্যন্ত বলে যাচ্ছে টাকার অভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া পাকিস্তান নাকি সামনের নির্বাচনে... ইত্যাদি। সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আবার বিশিষ্ট ব্যক্তি আর হর্তাকর্তাদের সাক্ষাৎকারও আসছে।

কিন্তু এই সব সরকারি ‘গুজব’ প্রচারের দায়েও কাউকে আমরা নিষিদ্ধ করতে বলি না। বরং বলি যে, মানুষ তার প্রয়োজন ও বিবেচনা অনুযায়ী গণমাধ্যম বেছে নিক। সরকারের প্রধান কর্তব্য হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি বা মিথ্যা তথ্য প্রচার ছাড়া কোনো গণমাধ্যমকে শাস্তি দেয়া যাবে না, এবং সেই শাস্তিও কোনো আমলা নির্ধারণ করবেন না। করবেন একটা স্বচ্ছ আদালত,একটা স্বচ্ছ শুনানির ভিত্তিতে।

লেখক : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়