রাশিদ রিয়াজ : আগামী দুই দশকে যানজটকে পাশ কাটিয়ে ফ্লাইংকার শুধু দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাবে না বরং এর প্রযুক্তি আরো উন্নত করা হবে। ফলে এর বাজার আগামী ২০ বছরে বেড়ে দাঁড়াবে দেড় লাখ কোটি ডলারে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিচার্স এ বাণিজ্যিক পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করতে শুরু করেছে। আগামী বছরের শুরুতে ফ্লাইংকারকে নিয়ে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও বিনিয়োগে বড় উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানিগুলো মনোনিবেশ সংযোগ করবে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বোয়িং কোম্পানির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি আউরোরা ফ্লাইট সাইন্স। স্টার ইউকে
এয়ারবাস ইতিমধ্যে ফ্লাইংকার নিয়ে মনোযোগ ও গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। এ কোম্পানিটি ইতিমধ্যে দুটি এয়ারট্যাক্সি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করেছে। এ দুটি কোম্পানি হচ্ছে ব্রাজিলের ভাহানা ও মেক্সিকোর ভুম। মরগ্যান স্ট্যানলির সিনিয়র বিশ্লেষক এ্যাডাম জোনাস বলছেন, বিভিন্ন উন্নত শহরের আকাশে এধরনের ফ্লাইংকার উড়ে যাওয়ার মত কতটুকু স্পেস রয়েছে বা তা কোনো পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে কি না তা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। খুব কমসময়ের মধ্যেই ফ্লাইংকার চলাচলে উন্নয়ন ঘটনানো সম্ভব।
এদিকে লকহিড মার্টিন ও নর্থথর্প গ্রামম্যান এধরনের ফ্লাইংকার উৎপাদনে যুক্ত হতে যাচ্ছে, রেথিয়ন ও হ্যারিস এয়ার ট্রাফ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশে^র উন্নত শহরগুলোর মধ্যে এধরনের ফ্লাইংকার রীতিমত চলাচল শুরু করে দেবে এমনকি সংক্ষিপ্ত যোগাযোগে প্রচলিত বিমানের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এটি। আমাজন ইতিমধ্যে ফ্লাইংকার প্রযুক্তি যাতে আরো কম মূল্যের নাগালে চলে আছে সেজন্যে বিনিয়োগও করেছে। শুধু যানজটপূর্ণ শহর নয় পল্লী এলাকায় এধরনের ফ্লাইংকার দ্রুত সম্প্রসারিত হবে বলে এসব কোম্পানির ধারণা।
আপনার মতামত লিখুন :