নিজস্ব প্রতিবেদক : পুষ্টিকর, সুস্বাদু মাছ প্যাকেটজাত আকারে বাজারে আনতে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ওয়ার্ল্ডফিস'র সাথে অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হারভেস্ট রিচ। চুক্তি অনুযায়ী পণ্যের মান, সাধ্য, স্বাদের ও স্থানীয় বাজারের নিরিখে মাছ প্যাকেটজাত করে ভোক্তাদের কাছে বাজারজাত করবে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএসএইডের সহযোগিতায় মাছজাত পণ্য বাজারে আনবে হারভেস্ট রিচ।
রোববার রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি বাস্তবায়নে মাছের উপরে গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় মাছ স্বাদ, সাধ্য ও মানের ভিত্তিতে সারাদেশে বাজারজাত করবে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্যাকেটজাত মাছ বাজারে আনার কথা রয়েছে।
পরীক্ষিত গবেষণার মাধ্যমে মাছের প্যাকেট জাত করে দেশের বাজারে উন্মুক্ত করার লক্ষ নিয়ে গত একবছর ধরে কাজ শুরু করেছে হারভেস্ট রিচ। তাদের গবেষণার মধ্যে প্রাথমিকভাবে চারটি প্রজাতির মাছ প্যাকেটজাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ে আসছেন। এই প্রজাতিগুলোর মধ্যে মলা,রুই, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুসরাত বারী আশা বলেন, আমরা দেশের মানুষের যে আমিষের ঘাটতি রয়েছে তা পুরণ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত দেশের শতকরা আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য হারভেস্ট রিচ ও ওয়ার্ল্ডফিস একসাথে কাজ করে যাবে। প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে এটি প্যাকেটজাত করে দেশ ও দেশের বাহিরে রপ্তানি করা হবে। আমাদের অর্থনৈতিক খাতে এটি বেশ ভূমিকা পালন করবে। কাঁচা পণ্য নিয়ে দেশের বেসরকারি খাতকে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নুসরাত বারী আশা বলেন, চারটি প্রজাতির মাছ বেছে নেওয়ার কারণ , আমাদের দেশের মানুষেরা সঠিকভাবে জানে না মাছের কোথায় আমিষ থাকে। ছোট প্রজাতির মলা মাছে বেশ আমিষ থাকে মাথায়। যখন মাছ ক্রয় করি তখন আমরা মলা মাছের মাথা কেটে ফেলে দেই। আমরা এই বিষয়গুলোর উপর গবেষণা করে মলা মাছ নিয়ে কাজ করছি। আর বাকি তিনটি প্রজাতিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকায় আমাদের পণ্যের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এককথায় এ মাছগুলো আমাদের আমিষের চাহিদা পুরণ করবে।
ওয়ার্ল্ডফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মালকম ডিকসন বলেন, হারভেস্ট রিচের সঙ্গে মৎসজাত পণ্য নিয়ে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার এবং মাংসের মত মাছেরও চাহিদা বাজারে সব সময় বর্ধিষ্ণু। মৎস্যখাতের উন্নয়ন ব্যাপক কর্মসংস্থানেরও যোগান দিবে। আমরা হারভেস্ট রিচের সঙ্গে কাজ করে এই খাতে দ্রুত উন্নয়ন সাধন করতে চাই।
মাছে নানা ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে। চারটি মাছ, মলা,রুই,তেলাপিয়া, পাঙ্গাস নিয়ে কাজ করবে হারভেস্ট রিচ ও ওয়ার্ল্ডফিস । গবেষণা করে প্যাকেট প্রক্রিয়াজাত করে পণ্য উৎপাদন করবে এ প্রতিষ্ঠানটি। কেক কেটে গতকাল এই প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন নুশরাত বারী আশা। আগামী ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে এই পণ্যটি বাজারে আসবে বলে জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :