শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:২০ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে সরকারকে জবাব দেবে জনগণ: নজরুল ইসলাম

শিমুল মাহমুদ: আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে জনগণ খুন, গুম, হত্যা, মামলার জবাব দেবে বলে জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত সার্বজনীন ন্যায় বিচার, বাক স্বাধীনতা, অবাধ গণতন্ত্র শীর্ষক আলোচন সভায় তিনি এসব কথা বলে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ স্থির করে ফেলেছে ; নির্বাচনের দিন তারা ভোট কেন্দ্রে যাবে। এবং তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবে। আর এতে আমরা আশা করি ধানের শীষের জয় হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজারো যুক্তি থাকা সত্বেও নিম্ন আদালত তার মুক্তি অসম্ভব করে তুলেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন উচ্চ আদালতে জামিন হওয়া সত্বেও 'নিম্ন আদালত সরকারে অধীনে' অর্থাৎ এই কাজটা করেছে সরকার। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বের হতে দিচ্ছে না। কারণ তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় তার জনপ্রিয়তাকে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিবেন। পরবর্তিতে উচ্চ আদালত যদি আমাদের জামিনও দেন এতে সরকার পক্ষ সন্তুষ্ট না। আমাদের জেলেই পাঠাতে হবে! কারণ নির্বাচন সামনে আমাদের এই নেতাকর্মীদের যদি জেলে দেওয়া না হয়, তাদের নির্বাচনে জয়ের কোন সুযোগ নাই।

স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার ভেবেছিল, বেগম জিয়াকে জেলে নিলে বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু না বিএনপি আগের অনেক বেশী শক্তিশালী হয়েছে। অনেক রাজনীতিক দল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এবং তারা এক জোটে সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের এর মধ্যে দু'এক জন আছেন। যারা সরকারের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলেছেন, ঐক্য করতে হবে সরকারের বিরুদ্ধে, এখন দেখলাম সরকারের কুলে বসে আছে।

তিনি বলেন, তাদের নির্বাচনে এমপি হবার এতোই শখ, এতোই আনন্দ যে তার জন্য এতো দিনের কথা সব বদলাতে হলো। তাতে আমাদের কিছুই আসে যাবে না, কারণ সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক দেশের জনগণ। এবং আসল সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক আল্লাহতালা।

প্রতীক বরাদ্ধের পর নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এই সুযোগ সৃষ্টিতে বাধা দিবে কারণ তারা জানে তাহলে তাদের জেতার কোন সুযোগ নাই। যদি এমন হয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এ বাধা অতিক্রম করতে হবে।

সরকারের সমলোচনা করে তিনি আরো বলেন, একজন রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণ চালাচ্ছে। অন্যজনকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার সনদের সাথে কোনভাবে সামঞ্জস্য হয় না। 'সব মানুষের সমান অধিকার' এটা হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা কিন্তু মানুষকে সমান অধিকার এই সরকার দিচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়