শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনীতিবিদদের কর্মকাণ্ড ও আচরণে সহনশীলতা, ইতিবাচক ধারায় রাজনীতি?

আশিক রহমান : বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, সহিংসতা ছাড়াই রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর আসনবণ্টন সম্পন্ন হয়েছে। যা দেশের মানুষের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ অতীতে, নির্বাচনের আগে দল বা জোটগুলোর আসনবণ্টন করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে। যা নিয়ে বড় ধরনের মারামারি ও সহিংসতার ঘটনা লক্ষ করা গেলেও এবার ব্যতিক্রম। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বা রাজনৈতিক দলের নেতারা অনেকটাই সহনশীল। কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিমিত বোধ সবার দৃষ্টি কাড়ছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি বলা যায়, ইতিবাচক ধারায় ফিরছে দেশের রাজনীতি?

শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানের মতে, দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা জনকল্যাণমুখী রাজনীতি। যে রাজনীতি গণতন্ত্র, সহনশীলতা, মানবাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা হয়তো সব সময় পূরণ হয় না। তবে হতাশারও কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়ে আমরা নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেখলেও এবার এখনো দেখা যায়নি। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও সহনশীলতা লক্ষণীয়, যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি। আসনবণ্টন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহিংসতা, মারামারি না থাকা অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। কারণ মারামারি কারও জন্যই ভালো নয়। দেশ ও মানুষের স্বার্থে সহনশীল রাজনীতি যে দরকার, রাজনীতিবিদেরা যে তা বুঝছেন, উপলব্ধি করছেন এটা শুভ ধারা। স্বাগত জানাই।

শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কর্মকাণ্ডে সহনশীলতা, আসনবণ্টনে একরকম সহিংসতামুক্ততা রাজনীতিতে পরিবর্তনের কোনো ইংগিত নয়। এটা কোনো পরিবর্তন বলেও মনে করি না আমি। কারণ মনোনয়নবঞ্চিতদের এই দেবো, ওই দেবো বলে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। দলগুলো নানাভাবে এসব সংকট বা মনোনয়নবঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বুঝ দিচ্ছে। মিটমাট করে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজনীতি এখন অর্থহীন হয়ে গেছে। কারণ রাজনীতি করে টাকাপয়সা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সম্পত্তি, বিদেশ যাওয়া, ছেলেমেয়েদের বিদেশে পাঠিয়ে লেখাপড়া করানোই এখনকার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। এর মধ্যে ব্যতিক্রম তো দেখছি না। এই বাস্তবতার মধ্যে নানারকম লাভ-লোভের হিসাব-কিতাবের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জোট গঠন ও আসনবণ্টন করছে। মোটকথা রাজনীতি যেমন চলছে, সেরকমই চলবে। নির্বাচন যদি শান্তিপূর্ণভাবে হয়, আমরা দেশবাসী তাতেই খুশি হই। সংঘাত-সংঘর্ষ-প্রাণহানি না হলেই আমরা স্বস্তিবোধ করি। ভালো বোধ করি। এখনো পর্যন্ত যেভাবে চলছে, এভাবে যদি শেষ হয় তাহলে খুবই ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, সরকার বদল হলেও দেশ যেমন চলছে, তেমনই চলবে, অবস্থার কোনো উন্নত হবে বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক দলগুলো দল হিসেবে গঠিত নয়। এক নেতা কেন্দ্রিক একটা নিরঙ্কুষ স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি দলগুলো এটা বাস্তবতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়