শিরোনাম
◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ মাসে এডিপির মাত্র ২০.১৫% বাস্তবায়ন

বণিক বার্তা : চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আইএমইডির তথ্যে দেখা গেছে, গত পাঁচ মাসে এডিপির সার্বিক বাস্তবায়ন ২০ শতাংশ হলেও ১১ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় এডিপিতে তাদের জন্য দেয়া বরাদ্দের ১০ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মকমিশন কোনো টাকাই খরচ করতে পারেনি।

এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২ দশমিক ৩৩, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৩ দশমিক ৯৫, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ৮ দশমিক ৩৮, দুর্নীতি দমন কমিশন ৮ দশমিক ৬৭, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩ দশমিক ৮০, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৪ দশমিক ৯৬, তথ্য মন্ত্রণালয় ৮ দশমিক ৬১ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এডিপির ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।

অন্যদিকে বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ৪১ দশমিক ৪২ শতাংশ, আইএমইডি ৪০ দশমিক ৮৫, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৩৯ দশমিক ৬৭, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩৬ দশমিক ৮৭, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৩৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৩০ দশমিক ৬৫, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ৩০ দশমিক ৫০, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৩০ দশমিক ৯৬, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩০ দশমিক ৪১, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৩০ দশমিক ৭৪ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এডিপির ২৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।

চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করেছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৩২ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খরচ হয় ২৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা, বাস্তবায়নের হার ছিল ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে খরচ হয় ১৭ হাজার ১১ কোটি টাকা, বাস্তবায়নের হার ছিল ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা, বাস্তবায়নের হার ছিল ১৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

আইএমইডির ওই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে তিনি বলেন, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোট ব্যয় ও বাস্তবায়নের হারে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। নির্বাচনী বছর হলেও এডিপি পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়নে সার্থক হব। কারণ দেশে কোনো রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নেই। ফলে জিডিপি ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হবে। আমরা যদি এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, তাহলে উন্নয়নের সুবাদে দারিদ্র্যের হার অনেক কমে যাবে। শিক্ষার আরো উন্নতি হবে, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২০৩০ সালে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে সিপিডির পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে কর্তৃপক্ষের কিছু ওভারসাইট দুর্বলতা রয়েছে। এ কারণে আর্থিক খাতের বেশকিছু সমস্যা হয়েছে। তবে সরকার সব বাধা দূর করে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো খাতকে ঢেলে সাজানো হবে। সব ধরনের সংস্কার করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন এবং অর্থনীতির লাইফলাইন মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সমাপ্ত করতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বে সরকার পরিবর্তন হলেও অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে থাকে না। কারণ তারা পূর্ববর্তী সরকারের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। এক সরকারের কাজ অন্য সরকার ভালোভাবে বাস্তবায়ন করে। কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো হয়ে থাকে। আমাদের দেশের সংস্কৃতি অন্যরকম, তাই উন্নয়ন ধরে রাখতে আমাদেরকে সরকারের ধারাবাহিকতা রাখা প্রয়োজন।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হোলি আর্টিজান হামলায় বিদেশী নিহত হওয়া। এজন্য আমরা প্রায় দুই বছর পিছিয়ে গেছি। এ হামলার পর আমরা কোনো বিদেশী পাইনি। মেগা প্রকল্প বস্তবায়নে ধীরগতি এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফায়জুল্লাহ ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়