আমিরুল ইসলাম : যারা ব্যাংকের টাকা মেরে দিচ্ছে তারা শুধু ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত না। এধরনের ব্যক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী বলে মনে করেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গত দশবছর ধরেই শুধু ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটেনি। যখন থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালো হয়েছে তখন থেকেই সমস্যাটি শুরু হয়েছে। যারা ব্যাংকের টাকা লোপাট করে নিচ্ছে তাদের ভুলে যাওয়া উচিত না, একাত্তরে মানুষ কি অবর্ণনীয় কষ্টের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। একাত্তরে গরিবের পিঠের উপর দাঁড়িয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেখান থেকে এদেশের মানুষের অর্থনীতির ভিত্তি দাঁড়িয়েছে। সরকারেরও এ ব্যপারে দায় রয়েছে। একাত্তর সালকে যে সরকার এতো সম্মান করে, সে সরকারের আমলে যে বড় লোকেরা টাকা মেরে খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দেশ এখন বড়লোকদের অধিকারে চলে গেছে। যেদেশে রাজনীতি করার জন্য বড়লোক হতে হয় সেদেশে এমনটাই হবে বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাংক খাত থেকে বাইশ হাজার পাঁচশ দুই কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তার মানে হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা এতোই দুর্বল, যেটা চুরি ঠেকাতে পারে না। এখন এ কাঠামোর সমস্যা সমাধান করা হয় না কেনো সেটা বড় প্রশ্ন। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকে টাকা রাখে। সরকার এর নিরাপত্তা না দিতে পারলে তারা ব্যর্থ। গত দশ বছরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বড়লোকায়ন হয়েছে। দশ বছরেই সাধারণত হিসেব হয়, এক দশকে কি হয়েছে। গত দশ বছরে যে পরিমাণ ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে, আগে এতো হয়নি। এর মধ্যে সিপিডির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও ঘটনাগুলো সত্য। সিপিডির দেয়া তথ্যগুলো মিথ্যা নয়। এ অবস্থা আরও খারাপ হবে। সহজে এর উন্নতি হবে না। রাষ্ট্রের মধ্যে জবাবদিহিতা না থাকলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চলতে পারে না ।
আপনার মতামত লিখুন :