মনজুর আহমেদ অনিক, নারায়ণগঞ্জ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে ১৪ প্রার্থী। এদের মধ্যে বিএনপির শাহ্ আলম, গিয়াসউদ্দিন ও আবুল কালাম অন্যতম। রোববার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিস থকে এতথ্য জানানো হয়। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ৫টি আসনে ৩৯ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি দল। গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ওই দিন ৬১টি জনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে ৫২টি মনোনয়নপত্র। বাছাইয়ে ১৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ৬ নেতা প্রার্থিতা ফিরে পান। এদেও মধ্যে থেকে ১৪ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়। ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ৫টি আসনে ৩৯ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ব্যক্তিরা হলেন- ১ আসন থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, ২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আতাউর রহমান খান, মাহমুদুর রহমান, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন জামাল, ৩ আসন থেকে বাংলাদেশ কল্যান পার্টি প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস, জাকের পার্টির মোস্তফা আমীর ফয়সাল, ৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মামুন মাহমুদ, শাহ্ আলম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির হিমাংশু সাহা, স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ৫ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. আবুল কালাম, সাইদ আহম্মেদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আল আফতাব।
সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, প্রতাহার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগ বিএনপি প্রার্থী। প্রতিটি আসনেই একাধীক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে আজ বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমাদেন। তাই বাকি প্রার্থীরা সাধারণ নিয়মেই প্রত্যাহার হয়ে গেছেন। এছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্রের বেশ কিছু প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে আয়ামী লীগের বিদ্রোহপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। তাই মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থী বর্তমান এমপি জতীয়পার্টির সংসদ সদস্য লেখাওয়াত হোসেন খোকার জন্য নির্বাচন কঠিন হচ্ছে বলে মলে করছেন অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন :