রফিক আহমেদ : নারী সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি শ্যামলী শীল বলেছেন, খুনি-ধর্ষক-নিপীড়ক নিপাত যাক, নারী-পুরুষ সকলের জন্য ভয়মুক্ত-নিরাপদ-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। এদেশের নারী-পুরুষসহ পুরো বাংলাদেশ আজ যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে রোকেয়ার আদর্শ-রাজনীতি এবং প্রেরণা নতুন করে আমাদের সংগ্রামের ডাক দিয়ে যায়।
রোববার রোকেয়া দিবস উপলক্ষে নারী সংহতি সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রোকেয়া বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি শ্যামলী শীল ও সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মরিয়ম, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইকরামুন্নেসা চম্পা, দপ্তর সম্পাদক ও সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন ডলিসহ কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শ্যামলী শীল বলেন, আজ রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিন। এ দিনকে স্মরণ করে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রোকেয়ার বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ইতিহাসে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সব মনিষীদের ভূমিকা আছে রোকেয়া তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা রোকেয়াকে বিশেষভাবে স্মরণ করি। এদেশের সংগামী জনতা তাদের সংগ্রামের অংশ হিসেবে রোকেয়াকে পাঠ করেন। তাঁর কাছ থেকে অনুুপ্রেরণা নেন।
নারী সংহতির সভাপতি বলেন, আজকের দিনেও আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। আমরা নারী সংহতি কেবল নারীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করি না। আমরা মনে করি নারীর সার্বিক মুক্তির জন্য নারীদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হতে হবে। এ জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, অপরাপর নারী মুক্তির আন্দোলনের দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছে নারী সংহতি।
নারী সংহতির নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিকভাবে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এখানে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই। কথা বলার স্বাধীনতা রাজনৈতিকভাবে সীমিত। ক্ষমতাসীন দলের সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট-গুম-খুনের বিষয়ে কথা বললে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি, জেল-জরিমানার মতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে।
সম্পাদনা- শাহীন চৌধুরী
আপনার মতামত লিখুন :