শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০১:১১ রাত
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিক বরাদ্দের পরেই আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা

আহমেদ জাফর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় আওয়ামী লীগের ইশতেহার নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দলটির ইশতেহারের কাজ চুড়ান্ত করে দলের সভানেত্রী কাছে জমা দেয়া হয়েছে। কাল সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দা কথা রয়েছে। এদিক বিবোচনা করে ক্ষমতাসীন দলটি প্রতিক বরাদ্দের পরেই ইশতেহার ঘোষণা করবে। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করবেন সংশ্লিষ্ট সূত্রে মতে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন ও নারী ভোটারদের প্রাধান্য দিয়ে ১০ টি লক্ষ্য নিয়ে ইশতেহার তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। ইশতেহারের খসড়া দলের সভাপতির শেখ হাসিনার দেয়া হয়েছিল সংযোজন-বিয়োজন করে চুড়ান্ত করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থীদের প্রতিক দেয়ার পরেই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ঘোষাণা করবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলির সদস্য ইশতেহার কমিটির আহব্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিক বরাদ্দের পরে একটি সময় ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

একাদশের নির্বাচনী ইশতেহার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, কৃষি ও শিক্ষায় উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কর্মসংস্থান, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, একশটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, নারী উন্নয়ন ও নীতি বাস্তবায়নসহ গত ১০ বছরে সরকার ও রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হয়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের রূপকল্পসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ছিল, তা কোন অবস্থায় রয়েছে, বাস্তবায়নে কী কী করা উচিত এসব উল্লেখ থাকছে ইশতেহারে। বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই ইশতেহারের করা হয়েছে।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আরেক সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের খসড়া ইশতেহারে নতুন নতুন কর্মসংস্থান, টেকসই উন্নয়নসহ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বাড়ানোয় বিশেষ দিক নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা, ভারি শিল্প কারখানা নির্মাণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর উন্নয়ন, মাদ্রাসায় কর্মমুখী শিক্ষা সংযোজন, সমুদ্র অর্থনীতির বাস্তবায়ন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাবে আওয়ামী লীগ। খসড়া ইশতেহারে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত ৮১ বছরের পরিকল্পনা। দ্বিতীয় পদ্মা ও যমুনাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ, প্রবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে নিয়ে আসাসহ জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের বিষয়টিও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়