শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দশ বছরে গণব্যাংকিং পরিধি বাড়ছে

রমজান আলী : সরকারের টানা দুই মেয়াদের শাসনামলে গত ১০ বছরে গণব্যাংকিং পরিধি বাড়ছে প্রায় দ্বিগুণের বেশিও । কম খরচ ও হাতের নাগালের ভেতরে ব্যাংকিং করা যায়- এমন ব্যাংকিংয়ের পরিধি বাড়ছে।

গত পাঁচ বছরে এ ধরনের ব্যাংকিং দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর জন্য ১০ বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে স্কুল ব্যাংকিং, ১০ টাকার একাউন্টের বিপরীতে কৃষকের সঞ্চয় ও ঋণ গ্রহণ, পথশিশুদের সঞ্চয়ের জন্য ব্যাংকিং, ব্যাংকিং অভ্যাস গড়ার জন্য এটিএম কার্ডের ব্যবহার ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে। ২০১০ সালে এ সব ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে আশানুরূপ অগ্রগতিও হয়েছে। তবে ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ বছরেই দেখা যায় অগ্রগতির হার দ্বিগুণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে শুধু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবাদানকারী এজেন্ট বেড়েছে প্রায় ১৪০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এজেন্ট ছিল ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৭ জন। পাঁচ বছর পর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৩ জন। বেড়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৪ জন। একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা নেওয়া মানুষের হার বেড়েছে ২৭৬ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৬২ হাজার ৬১০ জন। পাঁচ বছরে বেড়ে সেবা নেওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৯৮২ জন। পাঁচ বছরে বেড়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭২ জন। মূলধারার ব্যাংকিং সেবা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। একটি তফসিলি শাখা খোলার পর সেখানে যে খরচ হয় তা তুলে আনার জন্য উপরি নির্ভর করে সেখানকার ব্যাংকিং। তুলনামূলক কম সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে ব্যয় নির্বাহের সম্ভাবনা না থাকার কারণে সেখানে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। এ কারণে ব্যাংক এজেন্ট নিয়োগের মধ্য দিয়ে কম খরচে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে গণমানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বেড়েছে ১৯৯ গুণ বা ১৯,৮৮৯ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ১৮ জন। ২০১৭-১৮ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৯৮ জন। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৫৮০ জন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা নেওয়া মানুষ বেড়েছে ৫৭১ গুণ বা ৫৭,১০৭ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১১৭ জন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে এ পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ জন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা নেওয়া মানুষের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৯ জন। পাঁচ বছরে এটিএম বুথ বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৭৭৮টি। পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৭৪৭টি। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩ হাজার ৯৬৯ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়