শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী যুদ্ধে আ.লীগকে পরাজয় করার অস্ত্র বিএনপির নেই : অ্যাডভোকেট আফজাল

মারুফুল আলম : আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেছেন, আগে বিএনপিকে নিজের ঘরটা গোছাতে হবে, নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ যে সাংগঠনিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এই নির্বাচনী যুদ্ধে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। শনিবার ‘সময় টিভি’র টকশোতে তিনি আরো বলেন, রাজনীতির যে জায়গায় বিএনপি চলে গিয়েছিলো সেখান থেকে তাদেরকে টেনে মূল জায়গায় এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক মতপার্থক্য ও বিয়োগান্তক ঘটনা ছিলো, এরপরও প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে এক টেবিলে বসে চা খেয়ে আলোচনা করলেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী চান, সকলের অংশগ্রহণমূলক একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ভোটারদের মধ্যে একটি ফ্যাক্টর কাজ করছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষায় ব্যাঘাত আসতে পারে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, উন্নয়নযাত্রা ব্যাহত হতে পারে এবং সংখ্যালঘুসম্প্রদায় দেশছাড়া হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির নিজেদের মধ্যেই মনোনয়ন-বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। বিভিন্ন প্রার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি অফিসের সামনে শ্লোগান দিচ্ছে, রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। সিলেটে একজনকে বক্তব্য দিতে দেখলাম, বৃদ্ধা মা’কে জেলে রেখে ছেলে বাণিজ্য করছে। অর্থাৎ তারেক জিয়াকে মিন করছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের প্রায় চার হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে ২৭৮ জনকে প্রথম দফায় চিঠি দেয়া হয়েছিলো। সামান্য কিছু প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো কিন্তু সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এটাই আমাদের বিজয়ের প্রথম ধাপ। দলের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলায় আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি তার পক্ষ থেকে চিঠিও দিয়েছেন, আমরা যারা নমিনেশন চেয়েছিলাম তাদের জন্য আমরা মনে করি এটি শুভেচ্ছাবার্তা।

অ্যাডভোকেট আফজাল বলেন, মামলা বিচারিক বিষয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা যে মামলার স্বীকার হচ্ছে এগুলোর জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। ২৩১ জন মানুষকে হত্যা করা হলো। কোটিকোটি সম্পদ বিনষ্ট করা হলো। বাংলাদেশে এমন কোনো তুঘলকি কা- নেই যা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা করেনি। নির্বাচনের সময় বলে কি বিচার বন্ধ থাকবে? যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় তারা লক্ষ লক্ষ মামলার কথা বলেছিলেন, কিন্তু দেখা গেলো তাদের তালিকা দেড় হাজারের। মুখে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু বাস্তবে যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বা অপরাধের কোনো উপাদান নেই তাদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা হচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিও এমন কোনো নির্দেশনা দলের নেই।

অতীতে নির্বাচন করতে গিয়ে নির্বাচন ঠেকানোর নামে যেসব সহিংসতা ঘটেছে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে একটু সজাগ থাকতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে এবং আইনশৃঙ্খলারাক্ষাকারী বাহিনীকে। সজাগের জায়গাটিকে বিএনপি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আফজাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়