মো.সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও : নেই গো-চারণ ভুমি। মাঠে-ঘাটেও ঘাসের অভাব। খড়-খুটু পড়ে থাকা কাগজ খেয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের প্রান্তিক পরিবারের শতাধিক গরু বেচেঁ আছে। অনেকে ঘাস চাষ করে বাড়িতে রেখে গরু পালন করছে। রবিবার শহরের হাজীপাড়া এলাকায় একদল ছেড়ে দেয়া গরু ময়লা আর্বজনার স্তুপ থেকে উচ্ছিষ্ট খাবার খাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে কবি সুকান্তের কবিতা স্মরণ করিয়ে দেয় বলে খুধার রাজ্যে পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
শহর কিংবা গ্রামে নয় এ দৃশ্য এখন সব জায়গাতে চারণভূমি ও কাঁচা ঘাসের অভাবে গবাদি পশু পালন এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ও গবেষক অধ্যাপক নুরে-আলম বলেন, জমির সবটুকুই মানুষের খাদ্যের জন্য শস্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই স্বতন্ত্রভাবে ঘাস উৎপাদনের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ কাঁচা ঘাস ছাড়া গবাদি পশু থেকে কাঙ্খিত দুধ উৎপাদন অসম্ভব। দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু এসবের উৎপাদন সেই অনুপাতে মোটেও সম্ভব হচ্ছে না।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণে দুধ ও মাংসের প্রয়োজন ও এর উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি সামপ্রতিককালে অতীব আলোচিত একটি বিষয়।
উদ্ভুত সমস্যা উত্তরণের জন্য জেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, কাঁচা ঘাস উৎপাদন বৃদ্ধিসহ গো-চারণ ভূমি তৈরি করতে হবে যেহেতু দেশে আবাদি জমির সবটাই মনুষ্য খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে । প্রায় সারা বছর ধরেই শস্য উৎপাদন কাজে লাগানো হয়, তাই গবাদি পশুর কাঁচা ঘাসের চাহিদা পূরণে বিকল্প পন্থার উদ্ভাবন করতে হবে। পতিত জমি, আম, কাঁঠাল বাগানের মাঝে, উঁচু ঢিবি, বেড়ী বাঁধ ও রাস্তার ঢালে বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী ঘাস চাষ করা যেতে পারে। এ সমস্ত জায়গায় যে ধরনের ঘাস চাষ করা যায় সেগুলির উপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।কৃষকভাইদের এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :