সাইদ রিপন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দ্বারা অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থীতার বৈধতা পেয়েছেন ২৪৩ জন প্রার্থী। ইসির তিন দিনের আপিল শুনানি শেষে এ তথ্য জানা গেছে। আপিলের প্রথম দিনে ৮০ জন, দ্বিতীয় দিনে ৭৮ জন এবং শনিবার শেষ দিনে ৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রার্থিতার বৈধতা পায় ২২৭৯ জন। আর ইসিতে আপিলের পরে সর্বমোট ২৫২২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শেষ দিনে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে তিন দিনে ২৪৩টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানির শেষ দিন শনিবার রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত আপিল আবেদনের শুনানি চলে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার প্রতীক বরাদ্দ হবে। গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সারাদেশে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এরমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে মোট ২হাজার ৫৬৭ টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থিদের ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৮৬টি, এরমধ্যে ৫৪৩টি আপিল আবেদন জমা পড়ে ইসিতে।
বাতিলের তালিকায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিল। আপিল আবেদন শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছে তারাই বেশি। বিএনপির অন্তত ৭৮ জন (প্রথম দিন ৩৯, দ্বিতীয় ২১ ও তৃতীয় দিন অন্তত ১৮ জন) প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তৃতীয় দিনে যাদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে- জামালপুর-৩ আসনের নঈম জাহাঙ্গীর, নেত্রকোনা-১ আসনের আব্দুল কাইয়ুম খান, ময়মনসিংহ-৬ আসনের চৌধুরী মুহাম্মাদ ইসহাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শাহ মফিজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মহিউদ্দিন মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম-৯ আসনের মো. মোরশেদ সিদ্দিকি, চাঁদপুর-৪ আসনের জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি আসনের নতুন কুমার চাকমা, চট্টগ্রাম-৫ আসনের নাসির উদ্দিন, বান্দরবান আসনের মামাচিং, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এম মোরশেদ খান, রাজশাহী-৫ আসনের মো. আবু বকর সিদ্দিকি ও নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ, জয়পুরহাট-১ আসনের আলেয়া বেগম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের মো. আলী আলম, রাজশাহী-১ মুজিবুর রহমান, যশোর-৫ ইবাদুল খালেসী, কুষ্টিয়া-৪ আসনের মো. তছির উদ্দিন, যশোর-১ আসনের মো. সাজেদুর রহমান, যশোর-৪ লিটন মোল্লা, যশোর-৫ রবিউল ইসলাম, টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আনান স্বপন, ঢাকা-১৭ শওকত আজিজ, ঢাকা-১৯ মো. কফিল উদ্দিন, লক্ষীপুর-২ রহুল আমিন ভূঞা, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মাসুদুল আলম বাবলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এ কে এম জাবির, চট্টগ্রাম-১৩ নারায়ণ রক্ষিত, কুমিল্লা-৩ মো. আকবর আমিন বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের কাজী নাজমুল হোসেন, যশোর-৪ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, যশোর-৫ আসনের নিজাম উদ্দিন অমিত, যশোর-৩ আসনের সৈয়দ বিপ্লব আজাদ, যশোর-২ আসনের এম আছাদুজ্জামান ও ফিরোজ শাহ, হবিগঞ্জ-৪ আনছারুল হক, সিলেট-১ আনোয়ার উদ্দিন বোরহান, সিলেট-৫ মো. নরুল আমিন, নীলফামারী-১ এ আহম্মেদ বাবের বিল্লাহ (মুন), নীলফামারী-৩ আব্দুল ওয়াহেদ, রংপুর-৪ বেলাল হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনের নাজমুল হুদা, রাজশাহী- ৩ মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। নারায়নগঞ্জ -১ মো. মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ -৩ ইসমাইল হোসেন, কুষ্টিয়া -১ মো. আবদুল খালেক সরকার, রাজশাহী-১ মো. আলফাজ হোসেন, কক্সবাজার -১ মো. হাবিবুল্লাহ, বি-বাড়িয়া -৩ মওলানা মুজিবুর রহমান, বান্দরবান ওম্মে কুলসুম সুলতানা লীনা, কুমিল্লা-৬ সৈয়দ গোলাম মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম -৪ আসনের মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী সহ অন্তত ৮৫ জন।
আপনার মতামত লিখুন :