শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:২৫ রাত
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সম্মুখে ভিকারুননিসা নূন, পেছনে জ্বলন্ত আগুন!

অসীম সাহা : জীবনানন্দ বলে-ছিলেন, ‘ধরা যাক দুএকটা ইঁদুর এবার’। না আমরা ইঁদুর ধরার জন্যে কোনো ফাঁদ পাতিনি, ইঁদুর আপনি এসে নিজেই জ্বালে ধরা দিয়েছে। সেখানে কোনো হ্যামিলনের বংশীবাদক ছিলো না, কিন্তু ইঁদুরকে উস্কে দেয়ার জন্য আমাদের দেশের খুবই নামী একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মেয়ে ছিলেন, যিনি আবার ঐ স্কুল ও কলেজের শিক্ষিকাও। তাকে মদত দিয়েছেন বর্তমান সরকার-বিরোধী নিয়মিত টিভি টক-শোতে অংশগ্রহণকারী একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে তা আমরা জানতে পেরেছি। কী ঘটেছিলো অরিত্রীকে নিয়ে সেদিন ঐ ঐ স্কুল ও কলেজে?

গুযোগমতো সেই এনজিওর প্রধান নির্বাহী এসেছিলেন ভিকারুননিসাতে। তিনি চলে আসেন স্কুল গেইটে, যেখানে ছাত্রীরা অরিত্রীর পক্ষে আন্দোলন করছিলো। তিনি এসেই আন্দোলনরত কোনো কোনো ছাত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে কথা বলতে থাকেন। অভিভাবকদের মধ্যে কেউ কেউ ঐ স্কুলের আর একজন শিক্ষককে তা জানান। শিক্ষিকা বাইরে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি একজন মানবাধিকারকর্মী। টেলিভিশনে প্রায়ই আসেন। নাম জানতে চাইলে পরে বলবেন বলে তিনি এড়িয়ে যান। সেই শিক্ষিকা বাইরের কাউকে কথা বলার অনুমতি না দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তাকে এড়িয়ে তিনি মেয়েদের বলতে থাকেন, “মেয়েরা, আমি তোমাদের দাবিগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।” মেয়েরা কিছু বলার আগেই তিনি প্রায় জোর করে স্কুলের ভেতরে ঢুকে যান। কিছুক্ষণ পর কিছু মেয়েকেও ভেতরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোনো অভিভাবককে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভেতর থেকে গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়! হঠাৎ গেইট খুলে মিডিয়াকে ডাকা হয়। কিছুক্ষণ পর মেয়েরা ভেতর থেকে বের হলে ৬ দফা দাবির সঙ্গে আরো ১টা দাবি যুক্ত হয়, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষকের মুক্তি! আন্দোলনকারী অরিত্রীর বন্ধুরা ঐসব ছাত্রীকে জানায়, এখন এই দাবি সংযুক্ত করা সম্ভব নয়! সকল ছাত্রী অন্দোলন করছে অরিত্রীর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে। তদন্তে যা এসেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সে-অনুযায়ী কাজ করবে। অভিবাবক হিসেবে আমরা সরকারবিরোধী কাজে উৎসাহ দিতে পারি না। কোনো অবস্থাতেই সরকারের ইমেজ নষ্ট হতে দিতে পারি না! কিন্তু তারপরও উপস্থিত ছাত্রীদের ওপর জোর খাটানেরা হয়, তাদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। তখনও ঐ এনজিওর প্রধান নির্বাহী শিক্ষক ও ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিবাবকদেরই যেখানে ঢোকার অনুমতি নেই, সেখানে ঐ সংস্থাপ্রধান কীভাবে ভেতরে ঢুকলেন, সেটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অন্য শিক্ষকরা তাকে সেখানে থাকতে দিতে নার চাইলেও আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মেয়ে জোর দিয়েই বলেন, তাঁকে এখানে থাকতে হবে। বাইরের একজন লোক কেন এখানে থাকবে? এ প্রশ্নের উত্তরে সেই শিক্ষিকা বলেন, “আমরা ৩ দিন ধরে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তিনি তা করে দিয়েছেন।” একজন ভুক্তভুগী অভিভাবক এর প্রতিবাদ করলে তাকে সেই শিক্ষিকার সহযোগী এবং অভিযুক্ত ও মুক্তিদাবিকারী শিক্ষকরা চরমভাবে অপমান করেন।

কিছু মেয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর কিছু মেয়ে ‘হাসনা হেনার আপার মুক্তি চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে। তারা এক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করে, একদিকে অপরাধীর শাস্তি চায়, অন্যদিকে অভিযুক্তের।

এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ আমার নেই; কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আছে। কে সেই মহিলা, যিনি সরকারীবিরোধী প্ররোচনা জন্য সেদিন ভিকারুননিসার স্কুুলে গিয়েছিলেন? তার উদ্দেশ্য যে সৎ ছিলো না, এটা বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়। সরকার যেখানে একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেখানে কতিপয় দালাল ও সরকারের ভেতর অন্তর্ঘাত সৃষ্টিকারী যদি কেউ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মাধ্যমে অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনাদানকারীদের রক্ষার চেষ্টা করে, তা হলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা সরকারে নৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব। আমরা, নাহিদ ভাই এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবেন না।

লেখক : কবি ও সংযুক্ত সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়