রাশিদ রিয়াজ : ফাঙ্গাস রোগের কারণে গমের উৎপাদন কম হবে বলে চাষীদের মধে এ ফসল উৎপাদনে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক উৎপাদনে। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে গমের মূল্য কম থাকায় চাষীরা এ ফসল উৎপাদনবিমুখ হয়ে পড়েছে। গমের ঘাটতি মেটাতে আমদানির জন্যে ধর্ণা দিতে হতে পারে। গত অর্থবছরে গমের উৎপাদন ১২ শতাংশ হ্রাস পায় পরিমানে ছিল ১.১৫ মিলিয়ন টন। বিবিএস’এর পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ গত উৎপাদন হয়েছিল ১.৮০২ মিলিয়ন টন। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, এবছর শূণ্য দশমিক ৪ মিলিয়ন হেক্টরে গম চাষ হয়েছে। গত বছর এর পরিমান ছিল শূন্য দশমিক ৫ হেক্টর। গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি ধরা হলেও গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা ১৮ শতাংশ অতিক্রম করেছে। কৃষকরা বলছেন, বাজারে গমের মূল্য মণপ্রতি সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ হলেও উৎপাদন খরচ পড়ে যায় ৭’শ টাকা। আমদানিকৃত গম আরো সস্তা হওয়ায় কৃষকরা এ ফসল উৎপাদনে মার খাচ্ছে। ২০১৫ সালে দেশের ৮০ ভাগ জমির গম ফাঙ্গাসে বিনষ্ট হয়ে পড়ে। দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৭০ লাখ টন। প্রতিবছর গমের চাহিদা বাড়ছে ৫ থেকে ৬ শতাংশ হারে। গত অর্থবছরে ৬১ লাখ টন গম আমদানিতে ব্যয় হয় ১.৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম চারমাসে গত আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন। গত বছর একই সময়ে এ আমদানির পরিমান ছিল ২.০৫ মিলিয়ন টন।
আপনার মতামত লিখুন :