খোকন আহম্মেদ হীরা : প্রধান শিক্ষকের কাছে জমি বিক্রি করে প্রতারণার শিকার হয়ে বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছেন জেলার গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ কাছেমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা সামছুল হক হাওলাদার (৮৫) নামের এক বৃদ্ধ।
শুক্রবার সকালে ওই বৃদ্ধ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, নিজের চিকিৎসা ও অভাবের তাড়নায় আমি প্রতিবেশী মাষ্টার মনির হোসেন আকনের কাছে সাত লাখ টাকায় ১৪ শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। চুক্তি মোতাবেক গত ২১ অক্টোবর গৌরনদী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করেন বৃদ্ধ সামছুল হক। তিনি জানান, দলিল সম্পাদনের পর আমার হাতে একটি টাকার ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে মনির মাষ্টার বলেন ব্যাগে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে। সরল বিশ্বাসে আমি টাকা না গুনে বাড়িতে এসে ব্যাগের মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ টাকা দেখতে পাই। চার লাখ টাকা কম পেয়ে আমি হতাশ হয়ে পরি। তাৎক্ষনিক আমি মনির মাষ্টারের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে মনির টাকা কম দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর স্থানীয়ভাবে শালিশ বৈঠক বসলে সালিশরা তিন কিস্তিতে দেড় মাসের মধ্যে জমিদাতাকে তিন লাখ টাক দেওয়ার জন্য মনির হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন কিন্তু মনির সে নির্দেশ মানছেনা। নিরূপায় হয়ে সামছুল হক হাওলাদার গ্রহিতা মনির মাষ্টারের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা না দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ এনে গত ২৯ অক্টোবর গৌরনদীর সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে গ্রহিতা কালকিনি উপজেলার রমজানপুর আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মনির হোসেন আকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যাগের মধ্যে পুরো সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়েছি। টাকার ব্যাগ সামছুল হকের হাতে দিয়ে বলেছি টাকা গুনে নিন কিন্তু তিনি তা করেননি। টাকার ব্যাগ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর কম হয়েছে এ জন্য আমি দায়ী নই।
আপনার মতামত লিখুন :