শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোয়েন্দা ডকুমেন্ট জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বইটির কাজ শেষ

বিশ্বজিৎ দত্ত : পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা তথ্যে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বইটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। গতকাল তিনি ফেসবুক মেসেজের মাধ্যমে জানান ১৪ খণ্ডে বইটি বাংলা ও ইরেজিতে প্রকাশিত হবে খুব শিঘ্রই।

বইটিতে ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নজরদারির রিপোর্ট রয়েছে। দেশব্যাপি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কার্যক্রম, কর্মসূচি স্থান পেয়েছে। ১৯৪৮ সাল থেকে তার নামে ৪৭টি ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত ডকুমেন্টে যেসব তথ্য রয়েছে, তাও রয়েছে বইটিতে ।

বইটির প্রথম খণ্ডে জমিদারি প্রথা বিলুপ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন, আওয়ামী লীগের জন্ম, বঙ্গবন্ধুর সভা, সমাবেশ, করাগারে গমন, আত্মিয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের ঘটনা রয়েছে।

দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে, ভাষা আন্দোলনের বিষয়। জেলখানায় শেখ মুজিবুর রহমানের অনশন ছাড়াও অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

তৃতীয় খণ্ডে রয়েছে, সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন এলাকা সফর।

চতুর্থ খণ্ডে রয়েছে, আসাম থেকে মওলানা ভাসানির চিঠি। ২১ দফার দাবিতে ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের চট্টগ্রাম সফর। সরকারের বৈদেশিক নীতির সমালোচনা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়।

পঞ্চম খণ্ডে রয়েছে, চিকিৎসার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতা গমনের গোপন রিপোর্ট।

৬ষ্ঠ খণ্ডে রয়েছে, ১৯৬০-৬১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাসায় বসবাসের সূচনা। সপ্তম খণ্ডে রয়েছে, দেশরক্ষা বিধি বলে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ। অষ্টম খণ্ডে রয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের করাচি ও লাহোর গমন সংক্রান্ত বিষয়। নবম খণ্ডে রয়েছে, শেখ মুজিবসহ অন্যান্য নেতার গতিবিধির উপর সরকারের নজরদারি। দশম খণ্ডে রয়েছে, পল্টন ময়দানে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার মামলায় বঙ্গবন্ধুর হাইকোর্ট থেকে জামিন। আবার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার। একাদশ খণ্ডে রয়েছে, সিলেটের একটি মামলায় বঙ্গবন্ধুর আদালতে হাজিরা। অসুস্থ্য মাতাকে দেখার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের প্যারোলে মুক্তির আবেদন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ আদালত। দ্বাদশ খণ্ডে রয়েছে, ডা. টিএইচ খানের নিকট বঙ্গবন্ধুর চিকিৎসা। ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসুস্থ্যতা। ৬ দফা সংক্রান্ত চিঠিপত্র।

ত্রয়োদশ খ-ে রয়েছে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ব্রিটিশ আইনজীবী থমাস উইলিয়ামের নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠিপত্র। রিট পিটিশন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার চার্জ গঠন।

চতুর্দশ খণ্ডে রয়েছে, তামাক ও আখের ন্যায্য মূল্য দাবি। যমুনা সেতুসহ সেচ পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি। তিস্তা বাঁধ নির্মাণের দাবি। বিভিন্ন জেলায় ৬ দফা ও ১১ দফার দাবিতে গণসংযোগ। চট্টগ্রাম সফরের সময় শেখ মুজিবুর রহমানের মোটর কার দুর্ঘটনা ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকার সংক্রান্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট। সম্পাদনা : রেজাউল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়