শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩১ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামাজিক অপরাধ দমনে ইসলামী বিধান

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : প্রতিটি মানুষ সমাজে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সমাজের কোনো মানুষ যেন অপরাধ করে সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট না করে, এটাই সবার কাম্য। তবু সমাজের কিছু মানুষ অন্যের অধিকার খর্ব করে অপরাধ করে বসে। ফলে সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হয়।

সমাজে যাতে অপরাধ সংঘটিত না হয়, সে লক্ষ্যে ইসলাম সমাজকে কলুষমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখতে চায়। সমাজ তথা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, যেসব পরিস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা থেকে সমাজকে মুক্ত রাখা। যেমন সম্পদের ইনসাফসম্মত বণ্টন, যাতে অভাবের তাড়নায় কাউকে চুরি-ডাকাতি করতে না হয়। প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজ পরিশ্রমলব্ধ আয়ের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম হয় এবং প্রয়োজনীয় নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে নারী-পুরুষের অবাধ মিলন ও যৌন প্রবৃত্তি উদ্দীপক সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার রোধ করে ব্যভিচারের পথ রুদ্ধ করা প্রয়োজন।

খুনখারাবি রোধে সামাজিক দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটাতে হবে। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পরনিন্দা, পরচর্চা বন্ধ করার লক্ষ্যে মানুষের নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন করতে হবে।

অপরপক্ষে ইসলাম ব্যক্তির মন-মানসিকতায় আল্লাহর প্রগাঢ় বিশ্বাস ও পরকালের জবাবদিহিতার প্রত্যয় সৃষ্টি করে। তাকে এ কথা পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করার সুযোগ দেয় যে, যত সংগোপনেই সে অপরাধ করুক না কেন, আল্লাহ তা দেখেন। পরকালে আল্লাহর কাছে এজন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে এবং পরকালের শাস্তি ইহকালের শাস্তি অপেক্ষা অনেক কঠিন ও স্থায়ী। এই বোধ সৃষ্টি করার মাধ্যমেই কেবল অপরাধের মাত্রা ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনা সম্ভব। একাধারে সমাজ থেকে অপরাধ সংঘটনের সব সম্ভাবনা দূরীভূত ও ব্যক্তিচরিত্রের উন্নয়ন সাধনের মাধমেই অপরাধ দমন করা যেতে পারে। এতসব ব্যবস্থা গ্রহণের পরও যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে বসে, তবে ইসলাম তাকে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতী।

অপরাধ দমনে ইসলামী বিধানের কতগুলো অনন্যসাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন— এক. প্রতিরোধমূলক : ইসলাম অপরাধ সংঘটনের পথ খোলা রেখে মানুষকে অপরাধ করার সুযোগ দেয় না, বরং অপরাধের কারণসমূহ যাতে সংঘটিত না হয় তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দুই. আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান : ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো সবার জন্য ইসলাম একই শাস্তির বিধান দেয়। দেশের কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিন. সংশোধনমূলক : আল্লাহর হক সম্পর্কিত অপরাধের জন্য ইসলাম অপরাধীকে তওবা করার সুযোগ দেয়। খালেস নিয়তে তওবা করলে আল্লাহতায়ালা তা ক্ষমা করে দেন। ফলে সে নিজে সংশোধিত হওয়ার সুযোগ পায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়