নূর মোহাম্মদ : অর্থপাচারের মামলায় জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতকে সতর্ক থেকে বিচারিক মন প্রয়োগ করতে হবে। বিষয়টির সঙ্গে অর্থপাচারের মতো গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ জড়িত। এ ধরনের মামলায় জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মামলার এজাহার, বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিসমূহ যথাযথভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
এবি ব্যাংকের ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বহাল রেখে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
রায়ের সঙ্গে বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম একমত পোষণ করেন। তবে কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করে দেন। তিনি তার আদেশে বলেন, এটা কাচের মতো পরিষ্কার যে, ম্যাজিস্ট্রেট এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে তাদের জামিন দিয়েছেন। যদিও এ ধরনের মামলায় জামিন ও রিমান্ডসহ সকল কিছুর এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিশেষ আদালতকে। একইসঙ্গে আসামিদের এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ আটজনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মুদ্রাপাচার আইনে মামলা করেন। পরে ওইদিন বিকেলে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে ওয়াহিদুল হক, আবুহেনা মোস্তফা কামালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিন আসামিকে গ্রেফরের পর দুই ঘণ্টার মাথায় দুই আসামিকে জামিন দেওয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বিভিন্ন দৈনিকে জামিনের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আপনার মতামত লিখুন :