হ্যাপি আক্তার : নির্বাচনে প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের হলফনামা দিতে হয়। তারই প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। হলফনামায় যারা অস্বাভাবিক সম্পদের হিসাব দিয়েছেন তাদের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে সংস্থাটি। দুদক বলছে, নির্বাচনের পরই হলফনামার তথ্য ধরে অনুসন্ধানে নামবে তারা। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের হলফনামা বিবরণ এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। দেখা গেছে ক্ষমতায় ও ক্ষমতার বাইরে থাকা অনেকেরই সম্পদ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
বিভিন্ন প্রার্থীর হলফনামা অনুসারে, আগের নির্বাচনের সময়ের তুলনায় কারো কারো সম্পদ বেড়েছে ২’শ গুণেরও বেশি। অনেকে স্ত্রী-স্বজনদের নামে রেখেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সহজ প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনা যায় এমন সুযোগ তৈরি করতে হবে। তবে সুযোগ শুধু বললে কম বলা হবে, আমি এটাকে দায়িত্ব বলে মনে করি। এখানে ব্যক্তির পরিচয়ে বা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করে যদি মূল্যায়ণ করা হয় এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তাহলে কিন্তু সেটা অর্থবহ হবে না।’
প্রার্থীদের হলফনামা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পর্যবেক্ষণে আছে বলেও জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এখানে দল নেই, ব্যক্তি বা কোনো সামাজিক পরিচয় নেই। দুর্নীতির কোনো সম্পদ যদি কারো কাছে থাকে, সে ব্যাপারে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
দুদক সূত্র বলছে, হলফনামায় দেয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে আয়কর নথিতে দেয়া তথ্য। যাদের হিসাবে গরমিল ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের হলফনামা দিতে হয়, যেখানে থাকে তাদের আয়-ব্যয় এবং সম্পদের হিসাব।
আপনার মতামত লিখুন :