উল্লাস মূর্তজা : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা এমপিরা গত ৫-১০ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমার মনে হয় না কেউ হলফনামায় তার সঠিক তথ্য দিয়েছেন। এমন করে খুঁজতে গেলে আওয়ামী লীগের কারো প্রার্থিতা থাকার কথা নয়। আসলে নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতার কারণে তাদের ওপর অবিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হয়েছে। বুধবার বেসরকারী টিভি চ্যানেল ‘নিউজ ২৪’ এর ‘জনতন্ত্র গণতন্ত্র’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি একই আসনে একাধিক প্রার্থী কেন দিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু বিরোধীদল, আমাদের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর নামে মামলা রয়েছে তাই আমরা একই আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি। একজনের প্রার্থিতা বাতিল হলেও অন্য কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। পরবর্তী সময়ে দল থেকে বলে দেওয়া হবে, কে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে। বিএনপি মূলত প্রার্থী ঠিক করেই রেখেছে। যদি আমাদের নির্বাচিত প্রথম প্রার্থী টিকে যায়, তাহলে বিকল্প প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবে।
মনোনয়নবাণিজ্য করার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু তারেক রহমান নিজে প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন, তাই এখানে মনোনয়নবানিজ্য হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কোনো কোনো জায়গায় ৪ জন প্রার্থী দেয়া হয়েছে, কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যেখানে প্রার্থীদের ৩ জনের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে ৪ জন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ থাকায় মানিকগঞ্জের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। স্বাক্ষর সবসময় একই রকম হয় না। তাছাড়া কেউতো অভিযোগ করেনি যে, এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর নয়। সেক্ষেত্রে দলীয় মহাসচিবকে নির্বাচন কমিশন জিজ্ঞাসা করতে পারতেন যে, এই স্বাক্ষর আপনার কী না? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিন্তু একবারও অস্বীকার করেননি যে, এটা তার স্বাক্ষর নয়। তারপরো নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়ন বাতিল করেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে হলে এটা কখনো বাতিল করতো না নির্বাচন কমিশন।
আপনার মতামত লিখুন :