শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেল থেকে বের হয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিলো: শহিদুল আলম

রবিন আকরাম : কারাবন্দি অবস্থায় কতৃপক্ষের ভয়ংকর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন খ্যাতনামা চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলম। ডয়চে ভেলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর মুখ বন্ধ রাখতেও বলেছিল তারা।

সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শহিদুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করে। আমাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। এরপর ১০০ দিন কারাবন্দি ছিলাম। তবে তিনটি ধাপ একই রকম ছিল না। প্রথাম ধাপটা ছিল ভয়ংকর। আমার মনে হচ্ছিল আরো খারাপ কিছু হতে পারে।

দ্বিতীয় দফায় তারা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে এবং আমাকে দিয়ে তারা যা চাইছে তা বলানোর চেষ্টা করে। যা তারা পারেনি।

তৃতীয় ধাপটা ছিল দীর্ঘ, যখন আমি জেলে ছিলাম প্রথমে ভয় দেখাতো যখন কাজ হয়নি তখন তারা আমাকে বলেছিল যদি আমি বের হওয়ার পর মুখ বন্ধ রাখি তাহলে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিয়ে মুক্তি দিবে। কিন্তু সেই কৌশলও যখন কাজ করল না, তখন আমাকে রিমান্ডে নেয়া হলো। এসময় আমতে অপরাধী প্রমান করতে নানা ধরনের তথ্য জানতে চাইলো। শেষ পর্যায়ে এসে তারা আমাকে বললো ক্ষমা চাইতে। যদিও এর মধ্যে কোনটাতেই সফল হয়নি। এরমধ্যে দেশের ভেতর ও বাহির থেকে প্রচন্ড চাপ আসছিল।

আমার মনে হয় তখনই তারা বুঝতে পেরেছে, তারা ভুল করেছে।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনা করেন। পরদিন ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়