জাহিদুল হক চন্দন : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে সবজির আবাদ। ঢাকাসহ সারদেশের সবজির পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারদের কাছে সাটুরিয়ার সবজির আলাদা কদর রয়েছে। এছাড়া জেলার বাকি উপজেলাগুলোতেও ব্যাপক হারে সবজির চাষ হয়ে থাকে। কম খরচে ভালো ফলন, অধিক মুনাফা, স্থানীয় কৃষি অফিসের তদারকি ও রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জেলায় সবজির চাষ বেড়েছে। তবে এ জেলায় সবজি বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোন হাট নেই। এতে করে সবজি বিক্রি করতে চাষিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এ বছর সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর এক হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে প্রায় সকল প্রকার সবজির আবাদ হয়েছে। উপজেলার ধানকোড়া, তিল্লী, হরগজ, ফুকুরহাটি,দড়গ্রাম এবং বরাইদ ইউনিয়নে নানা রকমের সবজির আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর কড়লা,সিম,মুলা,লাউ,লালশাক,বেগুন,বরবটি,ফুলকপি,বাধাকপির আবাদ ভালো হয়েছে।
সবজি চাষি সোরহাব মিয়া জানান, সবজির কোন নির্দিষ্ট হাট না থাকায় প্রতি বছর সবজি বিক্রি করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বছর প্রায় ছয় বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজির আবাদ করেছি। জমি থেকে সবজি তুলে স্থানীয় পাইকারেদের কাছে বিক্রি করতে হয়। এতে ভালো দামে সবজি বিক্রি করা যায় না।
মকবুল হোসেন নামের সবজি ব্যবসায়ী জানান, সবজির ব্যবসা করে বেশ লাভবান হয়েছি। আগের চেয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে সহজে সবজি পরিবহন করা যায়।
আরিফ হোসেন নামের সবজির পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় ছোট আকারে সবজির একটি হাট রয়েছে। তবে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সেখানে আর আগের মতো সবজি আসে না। কাজেই বাধ্য হয়েই এখন ঘুরে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি ক্রয় করে ঢাকায় বিক্রি করেন তিনি। তবে স্থায়ীভাবে সবজির হাট থাকলে ব্যবসা আরও ভালো হতো।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান,সাটুরিয়া উপজেলায় এবছর সবজির ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উপজেলায় সবজির স্থায়ী কোন হাট না থাকায় সবজি চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ। তবে,প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে স্থায়ী হাটের ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :