স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ১০ বছরে ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা কাউকে নিতে দেননি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সমান পাঁচবার করে ভাগ করেছেন নিজেদের মধ্যে। এই এক দশকে মেসি ব্যালন ডি’অর জিতলে রোনালদো রানারআপ ছিলেন বেশির ভাগ সময়ই, বড় জোড় ছিলেন তিন-এ। রোনালদো জিতলেও মেসিকে ঠিক একই ভাগ্য মেনে নিতে হয়েছে। কিন্তু এবার মেসির জায়গা হয়নি শীর্ষ তিনে, এমনকি চারেও নয়! একেবারে পঞ্চম স্থানে। বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভাদের কাছে ব্যাপারটা তাই বেশ ‘উদ্ভট’।
মেসি গত ১১ বছরে কোনোবারই শীর্ষ তিনের বাইরে যাননি। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে। বছরটাও খুব একটা ভালো যায়নি মেসির। বার্সেলোনাকে নিয়ে লা লিগা আর কোপা ডেল রে জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে ছিলেন নিষ্প্রভ। ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়েছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের মঞ্চে দলের সঙ্গে মেসি নিজেও ব্যর্থ। গ্রুপ পর্বে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হার। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে কষ্টের জয়। আর ফ্রান্সের বিপক্ষে যেখানে তাঁকে প্রয়োজন ছিল দলের, সেখানে জ্বলে উঠতে পারেননি মেসি। তারপরও মেসির ক্লাব কোচ ভালভার্দে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না, ‘ব্যালন ডি’অর জেতায় মদরিচকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু মেসির পাঁচে থাকাটা উদ্ভট। এই পুরস্কারের অসংগতিগুলো নিয়ে আমি অবশ্য কোনো আলোচনায় যেতে চাই না।’
গত মৌসুমে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের জন্য ‘গোল্ডেন সু’ জেতেন মেসি। ৩৪ গোল করেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। ব্যালন ডি’অর জয়ী মদরিচ পেয়েছেন ৭৫৩ ভোট। ৪৭৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, তৃতীয় আঁতোয়ান গ্রিজমানের ভোটসংখ্যা ৪১৪, চতুর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট এবং মেসির ভোটসংখ্যা ২৮০।
আপনার মতামত লিখুন :