ডেস্ক রিপোর্ট : পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১৫ গুণের বেশি। আর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে আট গুণের বেশি। প্রথম আলো
একাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রহমতুল্লাহর জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে রহমতুল্লাহর কাছে থাকা স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৩৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০১৪ সালে তাঁর কাছে ২ কোটি ৬২ লাখ ১৩ হাজার ৪১০ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ছিল। বর্তমানে রহমতুল্লাহর স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অকৃষিজমি বাবদ আছে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৯১০ টাকার। গ্রামে ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকার ভবন আছে। এ ছাড়া বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বাবদ আছে ৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার ৬২০ টাকা। ২০১৪ সালে তাঁর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বাবদ কোনো অর্থ ছিল না।
বর্তমানে রহমতুল্লাহর মোট অস্থাবর সম্পত্তি আছে ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার ৬৮৮ টাকার। পাঁচ বছর আগে ছিল ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৭৮৯ টাকার। বর্তমানে নগদ আছে ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। তাঁর স্ত্রীর হাতে নগদ আছে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৩৯ টাকা।
রহমতুল্লাহর এখন ব্যাংক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৪ টাকা। তাঁর স্ত্রীর ব্যাংকে আছে ৭১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৯ টাকা।
রহমতুল্লাহর বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার বাবদ আয় দ্বিগুণ হয়েছে পাঁচ বছরে। বর্তমানে এ খাতে তাঁর কাছে আছে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮৬ টাকা। ২০১৪ সালে ছিল ৯ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৯ টাকা। এই খাতে স্ত্রীর নামে আছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা। এ ছাড়া পোস্টাল, সেভিং সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানত বাবদ তাঁর স্ত্রীর আছে ৫০ লাখ টাকা। আগে ছিল ৩০ লাখ টাকা। এ খাতে এ কে এম রহমতুল্লাহর নামে টাকা নেই।
বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল বাবদ রহমতুল্লাহর কাছে আছে ৬৩ লাখ টাকা। সোনা, অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকার বাবদ আছে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের থেকে এবং নিজেদের কোম্পানি থেকে তাঁর ঋণ আছে ৪৩ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৬২০ টাকা। আগে তাঁর ঋণ ছিল ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এইচএসসি পাস এ কে এম রহমতুল্লাহর পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, এফ বি ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেড ও অ্যাপেক্স প্রোপ্রার্টি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :