শিরোনাম
◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:২৩ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী আইন সাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী : তোফায়েল আহমেদ

সৌরভ নূর : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন ৪৯৮জন। কিন্তু এদের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৮৪ জনের মনোনয়ন পত্র। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বৈধতা পেয়েছে মাত্র ১১৪ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারণ হিসাবে ১ শতাংশ ভোটার তালিকার গরমিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি বাংলা

নির্বাচনে প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত এবং যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক গেজেটে এই বিধানটি সংযুক্ত করা হয়েছিলো, সেখানে ‘কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করতে হলে সমর্থক হিসাবে ওই এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা টিপসই থাকতে হবে। তবে পূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এটি প্রযোজ্য হবেনা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে এই প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের সাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই ১ শতাংশ স্বাক্ষর রাখার বিধান রাখা হয়েছে, সেটা অনেকগুলো কারণেই মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। প্রথমত, যিনি ভোটার, তার প্রার্থী হওয়ার অধিকার রয়েছে, সেটা ক্ষুণ্ণ হলো। দ্বিতীয়ত, যে ভোটাররা সেখানে স্বাক্ষর করে সমর্থন করবেন, এটা তাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। কারণ তিনি গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন, অথচ এখানে কেনো তাকে প্রকাশ্য করে দেয়া হচ্ছে। এটা তার অধিকার এবং তার জন্যও ক্ষতিকর।

তিনি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, এখনো সময় আছে, যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে'।

উল্লেখ্য যাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তাদের বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, যারা দলটির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে একই ধরনের সমস্যা রয়েছে বিএনপিতেও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়