সাজিয়া আক্তার : নেত্রকোণা-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিএনপি আইন মেনেই কাজ করছে। তাহলে কেনো ওবায়দুল কাদের সাহেবের গাত্রদাহ? আওয়ামী লীগ চেয়েছিলো বিএনপির ১৪১টি সিট খালি থাকুক। বিএনপি যাতে ক্যান্ডিডেট না দিতে পারে। এই যন্ত্রণায় কাতর হয়ে আওয়ামী লীগ পাগলের প্রলাপ বকছে।
যমুনা টেলিভিশনের রাজনীতি বিষয়ক টকশোতে তিনি আরো বলেছেন, টাকার লেনদেনের অংশীদার ওবায়দুল কাদেরও হতে পারেন। কারণ জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে পরিবর্তন করা হয়েছে টাকার লেনদেনে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যে মহোজোট তাতে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এবং জাতীয় পার্টি থেকে সেই টাকার লেনদেন হয়েছে সেটা পত্র-পত্রিকায় এসেছে।
কায়সার কামাল বলেছেন, মানুষ প্রশ্ন করছে সেই টাকার ভাগিদার আওয়ামী লীগের কে কে হয়েছেন? নিশ্চয় যারা টাকার ভাগিদার হয় তারা এরকম টাকার গন্ধ পান। বিএনপির বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের মতো যে অভিযোগ উঠেছে এটা এক প্রকার পাগলের প্রলাপ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে ধরনের কথা বলেছেন, সেটা রাজনৈতিক দলের সেক্রেটারি হিসেবে বলেন কিনা সারা দেশের মানুষ অবগত আছে। বালখিল্য আচরণ তাদের মুখে শোভা পায় না। ওবায়দুল কাদেরের মতো রাজনীতিবিদের কাছে আমরা নবীনরা এটা আশা করি না।
নেত্রকোণা-১ আসন বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া এই প্রার্থী বলেছেন, বিএনপির প্রতিটা কর্মীয়ই মনোনয়ন পেয়েছে। বিএনপি যর্থাথভাবেই মনোনয়ন বাছাই করেছে। ১৪১ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, এটা ছিলো আওয়ামী লীগের ক্রীড়নক নির্বাচন কমিশনের নীল নকশা। ৮০০ জনকে যে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেটা আইন মেনেই দেয়া হয়েছে। আরপিও সংশোধন ১৬ এবং ১৭ অনুচ্ছেদে আছে দুই ধরনের মনোনয়নের দেয়া যায়। প্রাথমিক মনোনয়নের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ জন পর্যন্ত দেয়া যায়। সেই কাজটিয়ই বিএনপি করেছে। বিএনপি ২ থেকে ৩ জন করে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। ৯ তারিখের আগে হবে চূড়ান্ত মনোনয়ন। তখন প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়াদের মধ্যে ১ জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :