শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৫ দুপুর
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুলাউড়ার এমপি মতিন ৫ বছরে হয়েছেন কোটিপতি!

স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাংসদ আবদুল মতিন। বিগত ৫ বছরে তাঁর নগদ টাকা হাজার অংক ছাড়িয়ে কোটির অংকে পৌঁছেছে। পূর্বে ব্যাংকে তাঁর নগদ টাকা না থাকলেও এখন তা অনেক গুণ বেড়েছে। আগে ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ছিল না। এখন তিনি দুটি দামি গাড়ির মালিক। পেশাও বদল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বছর খানেক পরে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় আবদুল মতিন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘এইচএসসি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর পেশা ছিল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ওই পেশা থেকে পাওয়া সম্মানী থেকে বছরে আয় হতো ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ছিল। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবসমাগ্রী ছিল। যৌথ মালিকানায় ৫ একর স্থাবর সম্পদ ছিল।

এবার নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তিনি পেশা ‘কৃষি’ উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩ টাকা নগদ রয়েছে। ব্যাংকে জমা আছে, ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ টাকা। ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এবং ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আরেকটি ‘নোহা’ গাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর নামে ১১৮ তোলা স্বর্ণালংকার, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিকসামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবসামগ্রী রয়েছে তাঁর। অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজের নামে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৪ শতক কৃষি জমি, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতক অকৃষি জমি আছে। তাঁর কোনো ঋণ বা দায় নেই।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে নগদ ও ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে সাংসদ আবদুল মতিন দাবি করেন, সাংসদ হিসেবে তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা সম্মানী পান। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে নগদ ও ব্যাংকে টাকা বেড়েছে। গাড়ি কিনেছেন। সরকারিভাবে তিনি কিছু জমিও পেয়েছেন। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়