মঈন মোশাররফ : এবি নিউজ টুয়েন্টিফোর এর প্রধান সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় বলেছেন, দন্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত। বিল ও ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়টি মনোনয়ন-প্রত্যাশিদের জানা স্বাভাবিক এবং দলীয় নীতি-নির্ধারকদেরও যথেষ্ট অবগতের বিষয়। কিন্তুু দলীয়ভাবে কেন তাদেরকেই মনোনয়ন দিতে হয়। সোমবার যমুনা টিভির টক’শোতে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, আমি বিএনপিকে অনেক কাছ থেকে চিনি। এই দলটি একটি অগোছালো দল। বিএনপির ব্যাবস্থাপনার ত্রুটি একেবারে গোড়া থেকে। এখন কিন্তু সময় লাগে না, কার ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক ফি জমা দেয়া হয়নি তা অতি দ্রুত চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, জনগণের রাজনীতি না রাজনীতির জনগণ? দন্ডিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া কি ফ্রেশ কোন প্রার্থী নেই? অথচ মনোনয়ন বাতিলের জন্য অভিযোগ দিয়ে বলা হয় এটা সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের অংশ। বিএনপি গোছালো ছিল না কখনোই। ২০১৮ সালে এসে এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আড়াল করে রাখার মত কিছুুই থাকে না।
‘সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়ন’ রিজভী ভাইয়ের এ কথাটি সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের ২৭ দিন আগে বাংলাদেশের কী অবস্থা ছিলো, তার থেকে এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। এখন মত-প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে উদাহরণ স্বরূপ সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। তার ছেলেও জমা দিলেন। তিনি কি কারনে সিটি কর্পোরেশন এরিয়ার বাইরে একজনকে নাম প্রস্তাব ও সমর্থক করলেন। এ কারণে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। রাজনীতির মার্কেটিং হিসাবেই কাজগুলো করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার ছেলে ঠিকই মনোনয়ন পেয়েছেন। এক্ষেত্রে জামায়াতের ২৭ জন ধানের শীষের প্রার্থী অথচ তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়নি কারণ তারা স্বাধীনতাবিরোধী হলেও তাদের ব্যবস্থাপনা ভালো। ঐক্যফ্রন্টের সাথে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদের একজন বিজ্ঞ লোক বলেছেন, আপনারা নির্বাচন করবেন নাকি করবেন না সেটাই জানেন না ।
সুভাষ সিংহ রায় আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি না থাকলে এই অবস্থা হবেই। ১৯৭৯ সালে জিয়া আওয়ামী লীগকে ৩৯টি আসন দিয়ে বিদায় করেছিলেন কিন্তু আওয়ামী লীগ বিদায় হয়নি। কারণ তারা রাজনীতির মাঠে ছিলেন। এটাই রাজনীতির দক্ষতা। বিএনপির নিজের দিকে তাকানো দরকার। ঋণখেলাপি সে নিজে এবং তার দলও কিন্তু জানে যে সে ঋণখেলাপি অথচ তার মনোনয়ন বাতিল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তোলা হয় এটা কী রাজনৈতিক অদক্ষতার পরিচয় নয়? এই দন্ডিত ও ঋণখেলাপিরা কীভাবে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে তা দেশের সাধারণ ভোটারদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। যদি দন্ডিত ব্যক্তি ও ঋণখেলাপিরা জনপ্রতিনিধি হন তাহলে জনগণের ভাগ্য অনিশ্চিত।
আপনার মতামত লিখুন :