হ্যাপি আক্তার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, প্রতিপক্ষকে অসমতল জায়গায় স্থান দিয়ে নিজেরা একটি সমতল ভূমিতে ১০ বছরের পূর্ণ শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে অনেক কথাই বলা যায়। কিন্তু চালাকি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। চালাকি করে জেতা যায় হয় তো কিন্তু সেই বিজয়ের কী কোনো গৌরব আছে। যমুনা টেলিভিশনের ‘রাজনীতি’ টকশোতে প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের নেতা এবং তাদের অনুগ্রহজীবী যারা আছেন, তাদের মস্তিস্কে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহটা বেশি করে যাচ্ছে। তা,নাহলে উনারা কথায় কথায় বলেন, নালিশ করা বিএনপির সহজাত অভ্যাস। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বলেন, বিএনপি মানেই নালিশ পার্টি। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে এমন কোনো সংস্থা নেই পৃথিবীতে যেখানে আওয়ামী লীগ নালিশ করে না। নালিশ তা উনারাই করেন অনবরত।
বিএনপির মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, খুবই ঠুনকো কারণ দেখিয়ে অনেকগুলো জায়গায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এই বাতিল করার সংখ্যা ৮০ নয়, সর্বশেষ ১০৮। মানিকগঞ্জে যাদের ধানের শীষ দেওয়া হবে, সেই স্বাক্ষর নিয়ে জেলা রির্টানিং অফিসার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে মনোনয়নে মহাসচিবের স্বাক্ষর সঠিক হওয়ার পরেও তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হলো কেন? যিনি স্বাক্ষার করেছেন তিনি নিজেও বলেছেন, হ্যাঁ আমি সাক্ষর করেছি। আর অনলাইনে কেউ যদি মনোনয়ন দাখিল করে থাকে, অনলাইনে নিজের হাতে দেয়া যায় না। স্বাক্ষারটি স্ক্যানিং করে দিতে হয়। এবার অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়টি ছিলো। এটি যদি আমাদের প্রার্থীরা করতো তাহলে হয় তো ২৯৩টি আসনই বাতিল করে দিত। বলা হতো এটি মির্জা আলমগীরের স্বাক্ষার না, তাই বাতিল করা । ভাগ্য ভালো যে আমাদের প্রার্থীরা কেউ অনলাইনে মানোনয়ন জমা দেননি।
তিনি বলেন, বর্তমানে জটিল পরিস্থিতিতে প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছিলেন লিখিত আকারে। যেগুলোতে প্রধান নির্বাচনের যে পরামর্শ লাগে পূর্ব অনুমোদিত, সেটা ছিলো। তারপরেও আলোচনা তো দূরের কথা, যে প্রস্তবনা দিয়ে এসেছিলো সেগুলো নিয়ে আলোচনাই করতে দেয়া হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :