শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৯ সকাল
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী ও শিশু পাচার রোধে সার্কভুক্ত সব দেশে এবার টোল ফ্রি হেল্প লাইন

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের অভ্যন্তরে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের পাশাপাশি সার্কভুক্ত সব দেশে নারী ও শিশু পাচার রোধে কাজ করবে টোল ফ্রি হেল্প লাইন। সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের উদ্যোগে সার্কভুক্ত দেশে টোল ফ্রি হেল্প লাইন প্রকল্প এ সহায়তা বাস্তবায়ন করছে। এই সেলের প্রধান অফিস ভুটানে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সব কার্যক্রম।

বাংলাদেশে টোল ফ্রি হেল্প লাইন নম্বর ১০৯ এবং ভারতে ১০৯৮। এছাড়া পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের আলাদা টোল ফ্রি নম্বর রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে টোল ফ্রি হেল্প লাইনে যোগাযোগে করলে সার্কভুক্ত দেশগুলো যৌথভাবে নারী ও শিশুদের নির্যাতন বন্ধ ও পাচার হওয়াদের উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারবে।

এই হেল্প লাইন প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর ড. আবুল হোসেন  বলেন, ‘প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। শিগগিরই হেল্প লাইন সেবা পুরোপুরি চালু করা হচ্ছে। এই সেলের অফিস ভুটানে। সেখানে সব দেশের প্রতিনিধিরা কার্যক্রম সমন্বয় করবে।’

ড. আবুল হোসেন আরও জানান, ভুটান থেকেই সবগুলো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং এবং তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব দেশে এই সার্ভিসটি নেই, সেসব দেশে এটি চালু করার জন্য সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সব দেশে এ সেবা পুরো চালু হলে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক সহায়তা করা যাবে। সক্ষমতা বড়াতে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, ইকুইপমেন্ট ও প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

হেল্প লাইন প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর বলেন, ‘কোনও দেশে নারী ও শিশু পাচার বা নির্যাতনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, নিজ দেশের হেল্প লাইন নম্বরে কল করতে হবে। যে দেশে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই দেশে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টারের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা, হেল্পলাইনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ২০১২ সালে বাংলাদেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় টোল ফ্রি হেল্প লাইন চালু করে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে ভারতের নয়া দিল্লিতে সার্কের ফোকাস গ্রুপ সভায় এই টোল ফ্রি হেল্প লাইন প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে বাংলাদেশকে প্রধান করে বাস্তবায়ন দলও গঠন করা হয়।
সূত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়