শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুঃখের স্মৃতিবিজড়িত স্বাধীনতা : শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী

তানজিনা তানিন : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রিয় মানুষদের, বিনিময়ে পেয়েছি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছি দেশের বুদ্ধিজীবীদের এবং সঙ্গে আরো৩০ লাখ মানুষ। বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। মাত্র নয় মাসে এতো বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাঞ্ছনা, অত্যাচার থেকে মুক্তি। শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আমি মন্ত্রিত্ব চাই না, আমি দেশের মানুষের অধিকার ফিরে পেতে চাই’। এই মহান নেতার নেতৃত্বে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিলো এই দেশে। অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে দেশ ও মানুষ হারিয়েছে অনেক কিছু। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সুখের, অন্যচোখে হারানোর স্মৃতি ভাসে।

বিজয়ের মাসে স্বামী হারানোর বেদনা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন বলে উল্লেখ করেন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। ১৫ ডিসেম্বর জয়ের দ্বারপ্রান্তে, পতাকা হাতে বিজয় মিছিল করতে যখন প্রস্তুত সবাই, তখন তার স্বামী ডা. আলীম চৌধুরীকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। ১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে আরও অনেক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সাথে লাশ পাওয়া যায় এ চক্ষু চিকিৎসকের। স্বামীর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার স্বামীসহ আরও কিছু ডাক্তার গোপন একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতেন। যেখানে যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করা হতো। সবাই যখন প্রাণ ভয়ে ঢাকা ছেড়ে পালাচ্ছে, ডা. আলীম মুক্তিযুদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান ও তাদের অন্যান্য সাহায্য করার জন্য যেতে রাজি হননি। পুরো নয় মাস আমরা পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময় বাসায় আশ্রয় দিয়েছি। চাঁদা তুলে ও নিজস্ব অর্থায়নে শীতবস্ত্র, খাবার ও নগদ টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকেছি। শত দুঃখ ও বিসর্জনের বিনিময়ে পাওয়া এ স্বাধীনতা এখনও হৃদয়ে ধারণ করে আছেন শ্রদ্ধেয় এই শহীদ জায়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়