শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন

আনিস তপন : দক্ষ বৈমানিক ও বিমান প্রকৌশলী তৈরীর লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ ও বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্তমান সরকারের শেস মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইন দুটির অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলণে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংকে সম্প্রসারিত করার জন্য এ আইনটি করা হয়েছে। এটা আমাদের দেশের জন্য নতুন। অ্যারোস্পেস শুধুমাত্র মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। তাই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য আইনটি করা হয়েছে।

এর গঠন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্যান্য ইউনিভার্সিটি যেমন, এটাও তাই। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এই আইনটির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার পূর্বচলে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’র অনুমোদন দেয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি (ট্রেড ইউনিয়ন) গঠনে শ্রমিকদের সমর্থন হার কমছে। আগে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন লাগলেও নতুন আইনে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

সংসদ অধিবেশন না থাকায় এই আইনটিও অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে জানিয়ে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশ ছিল এটাকে একটু শ্রমবান্ধব করার জন্য। সে দাবিতেই এটাকে অনেকটা ফেভারেবল করা হয়েছে।

আইনে বেপজার নিজস্ব পরিদর্শন কার্যক্রমের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের যে অধিদফতর আছে তাদেরও এ আইনের আওতায় পরিদর্শন সুযোগ রাখা হয়েছে বলেন সচিব।

শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষেত্রে যে তিন-চতুর্থাংশ সমর্থন থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল সেটা কমিয়ে দুই-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে। শ্রম আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা যাতে নিজেরা করতে পারে, সেই বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন আইনে শ্রমিকদের ধর্মঘট ও লক আউটের অধিকার দেয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত কর্মকর্তাদের চাকরি সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিকদেরও সমিতি করার অধিকার দেয়া হয়েছে। যোগ্য শ্রমিক বলে একটা বিধান ছিল আগের আইনে, নতুন আইনে সেটা বাদ দেয়া হয়েছে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়