জিয়াউদ্দিন রাজু : দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর নির্বাচকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার চূড়ান্ত। ইশতেহারে রয়েছে তরুণদের কর্মসংস্থান ও দেশ পরিচালনায় তাদের সম্পৃক্তকরণের বিষয়টি। নির্বাচনি প্রচারণার কাজের শুরুতে দলের প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তা জাতির সামনে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
দলীয় সূত্র ও নেতারা বলছেন, এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রাধান্য পাবে টেকশই উন্নয়নের বিষয়টি। দেশের তরুণ সমাজের জন্য বেশকিছু নতুন ‘চমক’ থাকবে ইশতেহারে। এ ছাড়া দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা ও আরও নতুন কয়েকটি বিষয়সহ সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষের কথা থাকবে আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনি ইশতেহারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর দিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে এবারের নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরবেন। সে ক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ ডিসেম্বর। সুতরাং ১১ ডিসেম্বর ঘোষণা হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার উপ কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর দিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন। এর পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে টেকশই করার কথা থাকবে দলের নির্বাচনি ইশতেহারে। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষের জন্য নাগরিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি প্রধান্য পাবে এবারের ইশতেহারে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে আরও বেগবান করা হবে তার সুষ্পষ্ট বর্ণনা থাকবে। এছাড়া ২০৩০ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কিভাবে কাজ করবে এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত কিভাবে কাজ করবে তার বিস্তারিতও থাকবে ওই ইশতেহারে।
দলটি মনে করছে, আগামীতে দেশের জন্য সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ রোধের বিষয়টি। সে কথা চিন্তা করেই আধুনিক, জনগণবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ার বিষয়টি এবার ইশতেহারে তুলে ধরবে। এ ছাড়া বিদ্যুত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আরো কৌশলী হওয়ার বিষয়টি থাকবে ইশতেহারে। পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, সামষ্টিক অর্থনীতি, ব্যাংকের মুদ্রাস্ফিত, ব্যাংক ব্যবস্থা, ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা নিয়ে নতুন ধরনের চিন্তা তুলে ধরা হবে। কৃষিক্ষেত্র ও শিল্পের উন্নয়নের জন্যও থাকছে নতুন কিছু ভাবনা। তরুণদের কিভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় তার একটি বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। দেশের চেহারা বদলে দিতে খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ , জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ ১০টি খাতে আরো ব্যাপক উন্নয়নের বিশদ প্রস্তাবনা থাকছে ইশতেহারে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার তৈরির কাজে যুক্ত ও দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, বর্তমানে দলের নির্বাচনি ইশতেহার চূড়ান্ত। নির্বাচনি প্রচারণার কাজের শুরুতেই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তা জাতির সামনে তুলে ধরবেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট প্রকাশ দেখতে পাওয়া যাবে এবারের ইশতেহারে। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের চাহিদারই বর্ণনা থাকবে এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে।
আপনার মতামত লিখুন :