রাশিদ রিয়াজ : গত কয়েক মাসে গ্রেফতারকৃতদের দেখতে তাদের স্বজনরা কারাগারে ভিড় জমাচ্ছে এবং তাদের সামাল দিতে যেয়ে কর্তৃপক্ষ কঠিন চাপে পড়েছে। দেশের ৬৮টি কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৩৬ হাজার ৬১৪ হলেও বন্দি রয়েছে সোমবার পর্যন্ত ৯০ হাজার ২৮৭ জন বন্দী। কারাগারে উপচে পড়া বন্দীদের দেখভাল ও তাদের স্বজনদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
সাধারণত বিচারাধীন বন্দীরা কারাগারে অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকে। এরমধ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যোগ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানসংকুলানের সমস্যা ছাড়াও তাদের স্বজনরা কারাগারে আসছেন বন্দীদের সঙ্গে দেখার আবেদন নিয়ে। কারাগারগুলোতে দোষী সাব্যস্ত রয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৮ জন, বিচারাধীন ৬৯ হাজার ৮০৮ ও নারী বন্দী রয়েছেন ৩ হাজার ৫২৮ জন। ২০০৭ সালে এ সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছে যায় যখন তৎকালীন কেয়ারটেকার সরকার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আটক অভিযান শুরু করে। কারাগারগুলোতে এধরনের অতিরিক্ত বন্দী সামাল দিতে তাদের খাবার, স্বাস্থ্য সুবিধা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে। চলতি অর্থবছরে সরকার বাজেটে কারাগার পরিচালনায় ৮’শ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যা গত অর্থবছরে ৭.৫১ বিলিয়ন থেকে ৮.২৮ বিলিয়নে বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
কারা প্রশাসন জানিয়েছে, গড়ে ৭০ হাজার বন্দীধারণ ক্ষমতা হলেও প্রকৃত ধারণক্ষমতা রয়েছে ৩৬ হাজার ৬১৪ জনের কিন্তু ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ৯০ হাজার বন্দীকে দেখভাল করতে হচ্ছে কারাকর্তৃপক্ষকে।
আপনার মতামত লিখুন :