সাজিয়া আক্তার : পক্ষ-বিপক্ষের নানা মত সামলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্ধারণও করা হয়েছে কোন কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সনাতন পদ্ধতির বাইরে এ ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সূত্র : এটিএন নিউজ
নির্বাচন কমিশনের দৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসেছে খুলনা ২ আসন। সিদ্ধান্ত হয়েছে জেলা সদর সোনাডাঙ্গা ও লবনচোরা থানার কিছু এলাকাসহ ১৬টি ওয়ার্ডের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
১৫৭টি ভোট কেন্দ্রে ৬৮২টি ভোট কক্ষে থাকবে ৬৮২টি ইভিএম। প্রথমবারের মতো ইভিএম ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুযোগকে রোমাঞ্চকর হিসেবে দেখছেন অনেক ভোটার। স্বাগতও জানিয়েছেন তারা। আবার অনেকে ইভিএমকে আপত্তি জানিয়ে বাতিলের দাবিও করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ইভিএমে যেভাবে ভোট গণনা করে এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার না, যার কারণে আমরা ইভিএমের পক্ষে নই। ইভিএমের ব্যবহার আমরা যদি না বুঝি তাহলে আমরা কীভাবে ভোট দেবো?
ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট গ্রহণে যথারীতি আশাবাদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে বিএনপির শরিকরা তা মনে করেন না। ইভিএমের ব্যবহার নিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরও রয়েছে মতের পার্থক্য।
সাতক্ষীরা-২ গণফোরামের প্রার্থী আমীনুর খান বাবুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনারের একঘেঁয়েমী মনোভাবের কারণে দেশে যে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে এতে ডিজিটাল কারচুপি করা হবে।
খুলনা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো লোক ইভিএম চায়নি। কোনো মানুষের ইভিএম সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই। ইভিএমের ব্যবহার জনগণের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার রিটার্নিং অফিসার হেলাল হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় যারা ভোট গ্রহণকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের নির্বাচন কমিশন থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :