শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় শাজাহান খানের সম্পদ

ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার তথ্যে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান ও তার স্ত্রী অঢেল সম্পদের মালিক।

এবার শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। হলফনামায় শিক্ষাকতা যোগ্যতা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন বিএ পাস। বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন। তবে অতীতে ৩টি মামলা ছিল। সূত্র : পরিবর্তন

শাজাহান খানের বছরে আয় ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৯ টাকা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৩ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে আয় ২ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি বাবদ বছরে পান ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা।

কৃষি-অকৃষি জমিসহ তার নিজ নামে রয়েছে ৭টি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট। পিছিয়ে নেই স্ত্রীও। তার নামেও রয়েছে অগাধ সম্পদ ও অ্যাপর্টমেন্ট। শাজাহান খান দুটি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। এ ছাড়া তার নামে রয়েছে ২টি জিপ ও একটি মাইক্রোবাস। এগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে শাজাহান খান নিজের ২০ তোলা সোনা দেখিয়েছেন। এগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, ফ্যান, আয়রন, ওয়াশিং মেশিন বাবদ দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা। আসবাব হিসেবে দেখিয়েছেন, খাট, সোফা, কাঠের আলমিরা, স্টিলের আলমিরা, ড্রেসিং ও ডাইনিং টেবিল, যার মূল্য ১ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে শাজাহান খান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার নিজ নামে ১ একর ৫৫ শতাংশ কৃষি জমি। এগুলোর মূল্য ৩৩ লাখ টাকা। এছাড়া ১২৫ গৈদী মৌজায়৪ শতাংশ, মূল্য ৬ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা, ৩৬ নং হাউসদী, পাতিলাদী ও ৩৫ নং মাদারদী ৬৩ শতাংশ ২২ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে।

অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য হিসাবে তিনি দেখিয়েছেন নিজ নামে শরীয়তপুরে ৬৪ শতাংশ, মূল্য ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদ। এছাড়া ২৮ দিয়াপাড়ায় ২.০৪ শতাংশ, মূল্য ৮৬ হাজার টাকা। ৬৯ নং রাজৈর ০.৬৫ শতাংশের মূল্য ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। গঙ্গাবরদীতে ৫ শতাংশের মূল্য ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা, দিয়াপাড়াতে ৩ শতাংশ জমির মূল্য ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬০ নং সাতপাড়া, ডুমুরিয়াতে ৬০ শতাংশের ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের জমি রয়েছে তার।

অকৃষি জমির মধ্যে স্ত্রীর নামে রয়েছে ১১০ নং হরিকুমারিয়া ২৪ শতাংশ জমি। অর্জনকালীন সময়ে যার মূল্য ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মালিগ্রাম মৌজায় ১৭ শতাংশ জমি। এর মূল্য ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

স্ত্রীর নামে রাউজক পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট, মূল্য ২৩ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা। এখানেই শেষ নয় শাজাহান খানের স্ত্রীর নামে চুনকুটিয়ায় রয়েছে ১১৩৪ অযুতাংশে অর্ধেক জমি। এর মূল্য দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। ১২৫ গৈদী মৌজায় রয়েছে ৪৫.৫০ শতাংশের প্রায় ৬০ ভাগ জমি। এর মূল্য ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চুনকুটিয়া ১৪৮৬ অযুতাংশের অর্ধেক জায়গাও স্ত্রীর নামে, মূল্য ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা।

এ ছাড়া বাড্ডা মৌজায় ৫.৭৫ শতাংশের ১.৪৩৭৫ শতাংশ জমি হেবা প্রাপ্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে। বাড্ডা মৌজায় ০২০৮.৫০ অযুতাংশ জমির অর্ধেকের মালিক মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর গজারিয়া মৌজায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ও ৮৪ হাজার ৬৯ টাকা মূল্যের জমি রয়েছে তার স্ত্রীর নামে।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের যৌথ মালিকানায় রয়েছে শকুনী মৌজার ১২.০৫ শতাংশ জমি ও স্থাপনার ৪৫ শতাংশ মালিকানা বাবদ ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ১১০ হরিকুমারিয়ায় ৫.৫ শতাংশ জমির ২০ ভাগের ৯ অংশের মালিকানা বাবদ ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে। ১০৬ মহিষেরচরে ১৫ শতাংশ জায়গার অর্ধেক মালিকানা বাবদ রয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ। একই দাগে ৪ ও ৮ শতাংশের অর্ধেক মালিকানা বাবদ যথাক্রমে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। বাড্ডাতে ১১৫৪ অযুতাংশের ৩ ভাগের ১ ভাগের মালিকানা বাবদ রয়েছে ৮৬ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ টাকার সম্পদ।

শাজাহান খানের দালান-কোঠার মধ্যে রয়েছে নির্মাণাধীন ভবন, যার মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ৬৯ নং রাজৈর ৯ শতাংশে নির্মাণাধীন বাড়ি, মূল্য ধরা হয়েছে ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাছাড়াও শাজাহান খানের নামে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে আরও ৫টি। এর মধ্যে ১১১ শকুনী মৌজায় ২.৪৫ শতাংশে যৌথ অ্যাপর্টমেন্টের মূল্য ৮৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। লালমাটিয়া হাউজিংয়ে ১৫.২৪ বর্গমিটারের ফ্ল্যাট, মূল্য উল্লেখ করেননি। ৬৯ নং রাজৈরে রয়েছে ৫.৭৩ শতাংশের বাড়ি, দাম ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৬৯ নং রাজৈরে রয়েছে ৩ শতাংশের আরও একটি বাড়ি, মূল্য দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

স্ত্রীর নামে রয়েছে মেরাদিয়া মৌজায় ৮২.৫০ অযুতাংশের জমিতে ১৫৭৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য বাবদ দেখানো হয়েছে ২০ লাখ ৭০ হাজার ৭৫০ টাকা। স্ত্রীর সার্বিক প্রিন্টিং প্রেসের ৪০ শতাংশ মালিকানা বাবদ ৮ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। এতসম্পদের মালিকানার পেছনে শাজাহান খানের কোনো দায়-দেনা থাকবে না, সেটিই স্বাভাবিক। তিনি এই অংশে কিছু দেখানওনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়