মাসুদ রানা : সাংস্কৃতিক বিধি যে আদর্শিক বিধির চেয়েও শক্তিশালী, তা আমার ‘হাইয়ারার্কি অফ রুলস গভার্নিং হিউম্যান বিহেইভিয়ার’ তত্ত্বে বিশদে বর্ণীত। তাবলিগ জামাতের হিংসাত্মক আচরণে সেই তত্ত্বের পক্ষে আরও প্রমাণ পাওয়া গেলো।
বাংলাদেশে একই ধর্মীয় বিশ্বাসের ও চর্চার তাবলিগ জামাতের লোকেরা তাদের দীর্ঘ-প্রতিষ্ঠিত নির্বিবাদ, সহনশীল ও অহিংস ভাবমূর্তি নিমিষে বিচূর্ণ করে মতভিন্নতায় দুই দল বিভক্ত হয়ে বকাবকি, ধাওয়া-ধাওয়ি ও মারামারির মাধ্যমে বাঙালী রাজনৈতিক-সংস্কৃতি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো!
ধর্মীয় আদর্শের ললিত বাণী কি এই বঙ্গসন্তানদের রুখতে পারলো? পারেনি। কারণ, ধর্মের চেয়েও সংস্কৃতির বিধি অধিকতর শক্তিশালী। এই মুহূর্তের বাঙালী জাতির লোকেরা গণপরিসরে যে-সংস্কৃতি লালন করছে, তাতে মতভিন্নতা নিরসনে গায়ের জোর ছাড়া সভ্য কোনো পদ্ধতির কোনো স্থান নেই।
তাই বলি, কোনো ধর্ম বা আদর্শই একটি জাতির ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পারবে না, যদি না তার সাংস্কৃতিক পরিবর্তন না হয়।
আপনার মতামত লিখুন :