রমজান আলী : সরকারের টানা দুই মেয়াদের শাসনামলে গত ১০ বছরে আগের ১০ বছরের তুলনায় প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় চার গুণ। দেশে গত ১০ বছরে রেমিটেন্স প্রবাহ তিন দশমিক ৫৬ গুণ বেড়েছে। যা বাংলাদেশের একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, বিদেশে কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ ও সুলভ করার পাশাপাশি রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট, বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউস ও শাখা খোলা, রেমিট্যান্সের অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা জারিসহ বেশ কিছু উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে, ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে পাঠিয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৮৫৯ দশমিক শূন্য চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অর্থ পূর্ববর্তী ১০ বছরের চেয়ে ৯৪ হাজার ৮২২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার বেশি। অনাবাসিক বাংলাদেশিরা (এনআরবি) ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত পাঠিয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৩৬ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার।
সকরারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে অভিবাসী শ্রমিকরা দুই হাজার ৭২৯ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। অপরদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পাঠিয়েছে ১৪ হাজার ৯৮১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২ হাজার ৭৬৯ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯৩১ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪ হাজার ২২৮ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৬১ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১২ হাজার ৮৪৩ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৬৫০ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ডলার, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৯৮৭ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৯ হাজার ৬৮৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :