শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ হাজার ৫০০ টাকার ঋণখেলাপি রেজা কিবরিয়া!

কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে: গণফোরামের প্রার্থী অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল করা হয়। আমাদের দেশে ঋণখেলাপি শুনলেই প্রথমেই যেই ছবিটি মানসপটে ভেসে উঠে সেটি হলো, হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মেরে দিয়েছে। পুরো সংবাদ পড়ে যা বুঝলাম সেটি হলো, তিনি সিটি ব্যাংক থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড নিয়েছিলেন, যা প্রতিবছর সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কার্ডটি নবায়ন করতে হয়। তিনি বিদেশে থাকায় এটি নবায়ন করতে পারেননি। অর্থাৎ অব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ডের ৫ হাজার ৫০০ টাকা বকেয়ার কারণে তার মনোনয়ন বাতিল! কতো হাস্যকর ভাবা যায়?

ঋণখেলাপি, ব্যাংকলোপাটসহ নানা কেলেঙ্কারির নায়কদের কারো মনোয়ন বাতিল হতে দেখছি না। এই আমলে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো, তাই এদের নামেই এইসব অভিযোগ বেশি থাকার কথা এবং তাই মনোনয়ন বাতিলের লিস্টে এদের নামই বেশি থাকার কথা। কিন্তু দেখছি এর বিপরীত।

‘বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় নাম ওঠা বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের নিজের কোনো বাড়ি নেই। শুধু তাই নয় নিজের, স্ত্রীর বা নির্ভরশীলদের কারোরই বাড়ি-আসবাবপত্র নেই। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িও নেই কারো। নিজের নামে যানবাহন থাকার কথা বললেও স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো যানবাহন নেই।’ এই হলফনামাকেও আমাদের সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে হইবেক। শুধু ব্যাংক ব্যবস্থা থেকেই মাত্র ৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছেন দরবেশ নামে খ্যাত এই দরিদ্র মানুষটি! শেয়ারবাজার থেকে কতো সেটাতো আজও অপ্রকাশিত!

পুরো চিত্র উল্টে যেতো। আজ যদি বিএনপির জায়গায় আওয়ামী লীগ হতো আর আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপি হতো। এইজন্যই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই দেশে দলীয় সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন জিন্দেগিতেও সম্ভব না। অথচ একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রমাণ করতে পারতো কেউ না পারলেও আওয়ামী লীগ পারে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা পারে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যেমন জিতলেও জেতা হতো আবার হারলেও জেতা হতো।

এই নির্বাচন যদি সত্যি সত্যি অবাধ এবং সুষ্ঠু না হয় তাহলে সেই কলংকের তিলক আওয়ামী লীগকে সারা জীবন বহন করতে হবে। অথচ তার উল্টোটা করে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি আমূল পরিবর্তন আনার সুযোগ ছিলো। বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেয়া যেতো আমরাও পারি। আওয়ামী লীগ হয়তো ভাবছে আগে আমাদের পিঠ বাঁচাইতো! সম্পাদনা : রেজাউল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়