সাইদুর রহমান: আধুনিক দাসত্ব বলতে হুমকি, কঠোরতা, জোরপূর্বক কাজ, প্রতারণা, ও শারীরিক শক্তির অপব্যবহারকে বুঝায়। বিভিন্ন খাতে এর প্রয়োগ হয়ে থাকে। যেমন, তৈরি পোশাক প্রস্তুতকরণ, খনিজ সম্পদ উত্তোলন, কৃষি এবং মৎস শিকার। দারিদ্রপীড়িত দেশগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সাম্প্রদায়িক কর্মকা-ের কারণে দাসত্ব হয়ে থাকলেও বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। আধুনিক দাসত্ব নামে কোনো আইন না থাকায় এ আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
এই আধুনিক দাসত্বের শিকার ৪০ মিলিয়ন মানুষ। তবে এ সংখ্যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।চলতি বছর আন্তর্জাতিক শ্রম ফাউন্ডেশন, ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন এবং আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা দাসত্বের হার নির্ণয় করে এক যৌথ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৭১% নারী, যুবতী ও শিশু আর বাকিরা পুরুষ। এরমধ্যে ১৫.৪ মিলিয়ন নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে, ২৪.৯ জন মানুষকে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। বিশে^ প্রতি হাজারে ৫জন দাসত্বের শিকার। বিশেষত যেসব অঞ্চলে জোরপূর্বক বিয়ে ও শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথম সারিতে আছে আফ্রিকার দেশগুলো। এসব দেশে দাসত্বের সংখ্যা হাজারে ৭.৬ %। এরপরে রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এখানে হাজারে ৬.১ % লোক দাসত্বের শিকার। তারপরে রয়েছে ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া। এখানে দাসত্বের হার হাজারে ৩.৯ %। তারপরে রয়েছে আরব দেশগুলো। হার হাজারে ৩.৩। তারপরে রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা। এখানে দাসত্বের হার হাজারে ১.৯ %। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মতামত লিখুন :