শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমনে অধিক ফসলে, নেই কৃষকের মুখে হাঁসি

আমজাদ হোসেন আমু, রামগতি-কমলনগর ( লক্ষ্মীুপর): লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর দুটি উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফসল হয়েছে। কিন্তু বাজারে ফসলের দাম অধিক কম। ধান বিক্রিতে উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকের। তাই বর্তমান বাজার মূল্যে ধান বিক্রি করে কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি নেই। তারা হতাশ।

কোনো কোনো কৃষক বাধ্য হয়ে কম দামেই ধান বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ বেশি দাম পাওয়ার আশায় সংরক্ষণ করছেন। ধানের দাম কম হওয়ায় বিপাকেই পড়েছেন কৃষকরা।

রামগতি-কমলনগরের কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধানের দাম মণ প্রতি ৫০০-৫৫০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে ধানের দাম একই অবস্থা থাকার কারণে কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে কৃষক হোসেন আহং বলেন, কমলনগরের তোরাব গন্জ বাজারে ৫০০ টাকা দরে ধানের মণ বিক্রি করেছি। অথচ এক মণ ধান উৎপাদনের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। এই অবস্থায় প্রতি মণে প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জমিদার হাট এলাকার মোঃ মনির বলেন, ৮০ শতাংশ জমি বর্গা চাষ করেছি। তাতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হয়েছে ৪০ মণ। জমির মালিককে দিতে হয়েছে ২০ মণ। বাকি ২০ মণ আমন বিক্রি করেও উৎপাদন খরচের টাকা উঠেনি। অনেক টাকা লোকসান হয়।

কৃষক ইসমাইল জানান, খরচ অনুযায়ী ধানের দাম নেই। ব্যবসায়ীরা ধান কিনতে আগ্রহ নেই, বাজারে পযাপ্ত দাম না থাকায় ধান কিনতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করছে না।

কৃষক ওজি উল্লাহ জানান,কৃষি কাজ করে সংসার ,ছেলে-মেয়ের পড়া লেখার সহ যাবতীয় খরচ চালায়। কিছু জমি বর্গা চাষ করেছি। অনেক টাকা খরচ হয়ছে। আমনের ফলন অনেক বেশি হহওয়াতে খুশি তবে ফলনে বাজারে দাম কম। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা ইকতারুল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ না করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি হয়েছে। কিন্তু ভালো দাম না পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফোটেনি।

রামগতি-কমলনগর কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান,এবার আমনে অধিক ফসল উৎপাদন হয়েছে।রামগতি প্রায় ২২ হাজার ৬ শ হেক্টর জমি চাষ হয়।এবং কমলনগরের ১৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমি চাষ হয়।দুটি উপজেলায় হেক্টর প্রতি ৫ মেঃ টন ধান উৎপাদন হচ্ছে। তিনি জানান,ধানের বাজার কম হওয়াতে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন নির্শেনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়