সাজিয়া আক্তার : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্য স্টিয়ারিং ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, দেশে ৫টি আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই, তবে এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এটা প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। আমরা এর জন্য আপিলের সুযোগ গ্রহণ করবো। আমরা আশা করি যে আসনগুলোতে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে, সেখানে অনেকেই প্রার্থীতা ফিরে পাবেন অথবা সেই জায়গায় অন্য কোনো প্রার্থী চলে আসতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
যমুনা টেলিভিশনের রাজনীতি বিষয়ক টকশোতে তিনি আরো বলেছেন, প্রার্থীরা দ-প্রাপ্ত হলে কী হবে না হবে এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে বিতর্ক হচ্ছে। এটা নিয়ে শেষ যে রায় হয়েছে, সে রায়ে বলা হয়েছে আপিল হয়ে দ- স্থগিত হলে নির্বাচন করা যাবে। গতকাল চেম্বার যে স্থগিত আদেশ দিয়েছিলেন তা আজও আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। তাতে আইনিভাবে বলা যায় এ অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এতে বেগম খালেদা জিয়া হয়তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
জাহেদ উর রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন করতে পারতেন, তাহলে নির্বাচনী জোটকে অনেক ভালোভাবে শক্তিশালী করতে পারতো। নেত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মানুষের মধ্যে যে ইমেজ আছে তাতে করে আমরা খুব ভালোভাবেই এগিয়ে যেতাম। তবে এখন এটা হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া বন্দি থাকা অবস্থায়ও এতোটা দুর্বল হবেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো শক্তিশালীও হতে পারেন। বেগম খালেদা জিয়া কোনো প্রতীক নিয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে নির্বাচন করতে না পারলেও তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে আছেন। সেটাই আমাদের শক্তি যোগাবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই সদস্য বলেছেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষেই মনে করে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আদালতে রাখা হয়েছে। মানুষ যদি বুঝে থাকে তার উপর অন্যায় হয়েছে, এ কারণে তাকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করতে পারে। এই সহানুভূতিটাও নির্বাচনের মাঠে কাজে লাগবে।
আপনার মতামত লিখুন :