অলক কুমার দাস, টাঙ্গাইল : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর দুইটিসহ জেলার ৮টি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৪টি মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম।
এছাড়া ঋণ খেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ফকির মাহবুব আমান স্বপন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খানের মনোনয়ন পত্রও বাতিল হয়েছে।
এছাড়া বাছাইয়ে আরও যাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে, তারা হলেন- টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী চাঁন মিয়া (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না দেয়া), বিএনএফের প্রার্থী আতাউর রহমান খান (হলফ নামায় সাক্ষর না দেয়া), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাকির হোসেন ও আবুল কাশেম (এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল), টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম (এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মামুনুর রহমান (দলীয় মনোনয়ন চিঠিতে দলের প্রধানের স্বাক্ষর না থাকা), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ মজিবর রহমান (ঋণ খেলাপি)।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী (ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করা ও বিল খেলাপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী লতিফ মিয়ার (দলীয় মনোনয়ন চিঠিতে দলের প্রধানের স্বাক্ষর না থাকা) মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র বাছাই করেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রস্তাবকারী-সমর্থক-আইনজীবী এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :