শাকিল আহমেদ : মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির কার্যক্রমে নগরবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে কেউ ফোন করলে বাসায় গিয়ে মশার ওষুধ ছিটানোর ঘোষণা দিলেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
রোববার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট এর সামনে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গৃহীত সপ্তাহব্যাপী 'স্পেশ্যাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ এর উদ্বোধনকালে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন।
এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমান, স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহ্উদ্দীন, সচিব শাহাবুদ্দিন খানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্পোরেশনের ৫টি অঞ্চলেই আজ থেকে একযোগে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে ।
৫৭টি ওয়ার্ডে ৩৬৭ জন মশক নিধন কর্মী কাজ করবেন। একাজে ৩২৪ টি হস্তচালিত মেশিন, ২৪৭টি ফগার মেশিন এবং ২০টি হুইল ব্যারো মেশিন ব্যবহার করা হবে।
এ বিষয়ে নগরবাসীদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরন, মাইকিং, শোভাযাত্রার আয়োজন করাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মসজিদের ইমামগনও এবিষয়ে বয়ান করে থাকেন।
সাঈদ খোকন বলেন, এবার আগাম বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে মশার উপদ্রবও বেড়েছে। আমরা একাধিকবার ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নেওয়ার কারণে এই ঝুঁকি থেকে বের হয়ে এসেছি।
বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এখন তাপমাত্রা কমে আসার কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ জনবল দিয়ে সফল হতে চেষ্টা করবো, নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই সবকিছু।
জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মশা নিধনে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যদি কোনো এলাকায় কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকে তাহলে সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবহিত করলে অনুমতি সাপেক্ষে বাসায় গিয়ে স্প্রে করতে বাধ্য থাকবে।
নাগরিকদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সমন্বিত কার্যক্রমে মশা নিধন প্রোগ্রাম বেশি সফলতা আসবে বলেও আশাব্যক্ত করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
আপনার মতামত লিখুন :