রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি’র নারী সেলের আহবায়ক ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেছেন, জাতীয় সংসদে নারীদের এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত আসন চাই। বর্তমানে সংসদে নারীদের মাত্র ৪৫টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। রোববার পুরানা পল্টন সিপিবি কার্যালয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, নারী-পুরুষ সকলের অংশগ্রহণে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নারী-পুরুষ সকল জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। তবে, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সকলের আস্থা অর্জন করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোরও নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতির দুনীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে দেশে স্থায়ী ও কার্য়কর সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচনকালে রাজনৈতিক কৌশলের নামে কোন দল, জোট বা রাজনৈতিক দলের নেতা যেন যুদ্ধাপরাধী, স্বৈরাচার, ঋণখেলাপি, নারী নির্যাতনকারী, মাদকব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও দুনীতিবাজ গডফাদারদের সাথে কোনো প্রকার নির্বাচনী ঐক্য বা সম্পর্ক গড়ে না তোলে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে নারী-পুরুষের সমঅধিকারসহ সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি জনগণকে দিতে হবে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি এবং নির্বাচানী এলাকা পুনঃনির্ধারণের প্রতিশ্রæতি সকল রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে থাকতে হবে। সকল রাজিৈতক দল থেকে নির্বাচনে অধিক হারে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া এবং উক্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে জিতিয়ে আনার সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ২০০৮ অনুসারে সকল রাজনৈতিক দলের সকল স্তরে কমিটিতে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অন্তভর্িূর বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :